TMC leader arrested

জমি দখল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তা! শিলিগুড়ির আরও এক তৃণমূল নেতা গ্রেফতার দিল্লি থেকে

মুখ্যমন্ত্রীর বার্তার পরেই শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত তৃণমূল নেতা দেবাশিস প্রামাণিককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরে তা নিয়ে মন্তব্য করে অন্য দলীয় নেতাদের সতর্কও করেছিলেন মমতা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪ ১৩:৩৪
Share:

(বাঁ দিকে) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গৌতম গোস্বামী (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

জমি দখল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া বার্তার জের। গ্রেফতার হলেন শিলিগুড়ির আরও এক তৃণমূল নেতা। গৌতম গোস্বামী নামে ওই নেতাকে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করেছে শিলিগুড়ি কমিশনারেটের পুলিশ। পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর বলেন, ‘‘দিল্লিতে আমাদের দল গিয়ে গৌতম গোস্বামীকে গ্রেফতার করেছে। তদন্তের স্বার্থে এর থেকে বেশি কিছু বলা সম্ভব নয় এখনই।’’

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রীর বার্তার পরেই শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত তৃণমূল নেতা দেবাশিস প্রামাণিককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরে তা নিয়েও মন্তব্য করে দলীয় নেতাদের সতর্ক করেছিলেন মমতা। এ বার দেবাশিস-‘ঘনিষ্ঠ’ গৌতম গোস্বামী গ্রেফতার হলেন। গৌতম ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি ব্লকের তৃণমূল সহ-সভাপতি। এ ছাড়াও শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন পর্ষদের সদস্য গৌতম।

পুলিশ সূত্রে খবর, দেবাশিস গ্রেফতার হওয়ার পরেই শহর ছেড়েছিলেন গৌতম। তখন থেকেই তাঁর খোঁজ করা হচ্ছিল। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, শিলিগুড়ি থেকে প্রথমে কলকাতা গিয়েছিলেন গৌতম। পরে সেখান থেকে যান হায়দরাবাদে। সেখান থেকে বেঙ্গালুরু ও পরে দিল্লি। সেই খবর পেয়েই শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ দিল্লি থেকে গৌতমকে গ্রেফতার করে। অন্য দিকে, গজলডোবা থেকে উত্তম রায় নামে এক বিজেপি নেতাকেও জমি দখলের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, উত্তমের দখল করা জমি উদ্ধারে নামা হবে এ বার।

Advertisement

গৌতমের গ্রেফতারি নিয়ে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় বলেন , ‘‘দেবাশিস প্রামাণিক বা গৌতম গোস্বামীদের গ্রেফতার করিয়ে চোখে ধুলো দেওয়ার কাজ করা হচ্ছে। এদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে বড় মাথারা পার পাওয়ার চেষ্টা করছে। একের পর এক সরকারি-বেসরকারি জমি দখল করছে এরা। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী থাকেন, সেই উত্তরকন্যার পাশ দিয়ে বিঘের পর বিঘে সরকারি জমি দখল হয়ে গিয়েছে। কাদের অনুমতিতে তা হল, সেটা খতিয়ে দেখা উচিত।’’ গজলডোবার বিজেপি নেতার গ্রেফতারি নিয়েও তাঁর বক্তব্য, ‘‘জমিকাণ্ডে যারাই জড়িয়ে থাকুক না কেন, দলমত নির্বিশেষে সকলের বিরুদ্ধেই আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া উচিত।’’

জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মহুয়া গোপ বলেন , ‘‘আমাদের দলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় যা নির্দেশ দেবেন, সেটাই হবে। এরা যে এই ধরনের কাজে যুক্ত ছিল, সেটা আমরা জানতাম না।’’


আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement