Suspicious Youth sighted at Baruipur

বারুইপুরে ‘সন্দেহজনক’ যুবক, শুভেন্দুর দাবি খারিজ পুলিশের

প্রাথমিক খোঁজখবরের পরে বাড়ির ছাদে লাগানো ‘অ্যান্টেনা’ ইন্টারনেট প্রদানকারী সংস্থার তরফে লাগানো জানিয়েছে পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:১২
Share:
শুভেন্দু অধিকারী।

শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে দুই ‘কাশ্মীরি’ যুবকের কার্যকলাপ ‘সন্দেহজনক’ বলে বৃহস্পতিবার সমাজমাধ্যমে অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পহেলগামের জঙ্গি হামলার পরে বিরোধী দলনেতার এই অভিযোগ নিয়েই হইচই শুরু হয়েছিল। তবে বিকেলেই বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি জানিয়ে দিলেন, প্রাথমিক তদন্তে ভিন্ রাজ্য থেকে আসা ওই দুই যুবকের কোনও রকম সন্দেজনক কার্যকলাপের প্রমাণ মেলেনি। তবে শুধু সন্দেহের বশে বিরোধী দলনেতার মতো দায়িত্বশীল পদের অধিকারী কোনও রাজনীতিক কারও ঠিকানা প্রকাশ্যে জানিয়ে দিলেন কেন, এই প্রশ্নে বিতর্ক অব্যাহত। অনেকেরই বক্তব্য, সন্দেহের কথা তিনি পুলিশকে জানিয়ে তদন্ত দাবি করতে পারতেন।

শুভেন্দু এ দিন সকালে এক্স হ্যান্ড্লে তিনি দাবি করেন, ‘বারুইপুরের পুরনো বাজারের কাছে একটি আবাসনে রয়েছেন দুই কাশ্মীরি যুবক। আবাসনের ছাদে বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে শক্তিশালী তারবিহীন যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছেন।’ বিরোধী দলনেতার এই দাবির সূত্রে সাংবাদিক বৈঠক করে জেলা পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘আমরা দুই যুবকের পরিচয়পত্র-সহ সমস্ত দিক খতিয়ে দেখেছি। প্রাথমিক তদন্তে সন্দেজনক কিছুই ধরা পড়েনি। সকলকে অনুরোধ, কোনও রকম গুজব ছড়াবেন না।’’ তিনি জানিয়েছেন, দুই যুবক মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র ছিলেন। সম্প্রতি তাঁরা বারুইপুরে এসে কাছেই বিষ্ণুপুর ব্লকে জমি কিনে সেখানে মাছের ব্যবসা করার পরিকল্পনা করেন। প্রাথমিক খোঁজখবরের পরে বাড়ির ছাদে লাগানো ‘অ্যান্টেনা’ ইন্টারনেট প্রদানকারী সংস্থার তরফে লাগানো জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশের বক্তব্য জানার পরে শুভেন্দু অবশ্য বলেছেন, ‘‘পুলিশের নজর এড়িয়ে ভিন্ রাজ্যের দুই যুবক কী ভাবে এত দিন এলাকায় রয়েছে? পুলিশ তাদের সামনে আনছে না কেন?’’ সাম্প্রতিক অতীতে সোনারপুর-বারুইপুর এলাকায় গা ঢাকা দিয়ে থাকা লোকজনকে ভিন্ রাজ্যের পুলিশ এসে যে জঙ্গি যোগসাজশের অভিযোগে ধরে নিয়ে গিয়েছিল, সেই দৃষ্টান্তও টেনেছেন বিরোধী নেতা। বারুইপুর পশ্চিমের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তথা বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, ওই যুবকদের সঙ্গে জঙ্গি কার্যকলাপের কোনও সম্পর্ক নেই। এ ধরনের গুজব ছড়ানোর আগে বিরোধী দলনেতার সতর্ক হওয়া উচিত।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন