—প্রতীকী ছবি।
উচ্চ শিক্ষা দফতরের সোমবারের নির্দেশিকার প্রতিবাদ জানাল রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির শিক্ষকদের একাংশ। কলকাতা, যাদবপুর, রবীন্দ্রভারতী-সহ ন’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন এবং প্রেসিডেন্সি-সহ চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা এক বিবৃতিতে মঙ্গলবার জানিয়েছেন, এই ‘শিক্ষা এবং শিক্ষক স্বার্থ বিরোধী’ নির্দেশিকা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা না হলে আন্দোলনের পথে যাওয়া হবে।
বর্তমান নির্দেশিকা অনুযায়ী কোর্ট, সিনেট, সিন্ডিকেট, কর্মসমিতির বৈঠকের মতো অন্যান্য সিদ্ধান্ত নির্ণায়ক বৈঠক ডাকতে গেলেও উচ্চ শিক্ষা দফতরের অনুমতি নিতে হবে। শিক্ষকদের অভিযোগ, তা মানতে হলে দৈনন্দিন কাজ চালানোর মতো কমিটির বৈঠকগুলিও সরকারের অনুমতি ছাড়া করা যাবে না। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ‘ওয়েবকুটা’ও নির্দেশিকা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
অভিযোগ, ওই নির্দেশিকায় ঘুরিয়ে শিক্ষকদের ‘কেরিয়ার অ্যাডভান্সমেন্ট স্কিম’ (ক্যাস)-এর আওতায় পদোন্নতি বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে। যুক্তি হিসেবে 'ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটিজ় (কন্ট্রোল অব এক্সপেন্ডিচার)’ আইন ১৯৭৬-এর কথা বলা হয়েছে, যার সঙ্গে ক্যাস-এর কার্যত সম্পর্ক নেই। শিক্ষকদের পদোন্নতি হয় ইউজিসি এবং রাজ্য সরকারের আদেশনামা অনুসারে। ফলে এর সঙ্গে যে আইন উল্লেখ করা হয়েছে এবং সেই আইনের আওতায় ‘পে অ্যান্ড অ্যালাওয়েন্স’-এর যে কথা বলা হয়েছে, তাদের পারস্পরিক যোগ নেই।