Jhargram School

একলব্য স্কুল চালাতে সমস্যা, প্রশাসনকে চিঠি

ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত আদিবাসী পড়ুয়ারা নিখরচায় পড়তে পারে একলব্যে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে নজরকাড়া ফলও হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

 ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৬:৩৭
Share:

মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানালেন ঝাড়গ্রাম একলব্য স্কুলের অতিথি শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বুধবার। — নিজস্ব চিত্র।

ঝাড়গ্রাম একলব্য আদর্শ আবাসিক বিদ্যালয় চালাতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানালেন স্কুলের সম্পাদক। প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের পাশাপাশি বিষয়টি রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন তিনি। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঝাড়গ্রামে পৌঁছনোর পরে তাঁর কাছেও বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে আর্জি জানিয়েছেন অতিথি শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

Advertisement

এ দিন দুপুরে কনভয় থামিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাম্মানিক বাড়ানোর আর্জি জানান অতিথি শিক্ষক-শিক্ষিকারা। স্কুল গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষক-শিক্ষিকারা হাত দেখাতে থামে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়। মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁরা বলেন, “দিদি, ১১,৮৯০ টাকায় চালানো যাচ্ছে না।” গাড়িতে বসেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “তোমরা তো গেস্ট টিচার।” জবাবে অতিথি শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানান, অন্যত্র অতিথি শিক্ষক-শিক্ষিকারা সপ্তাহে দু’-তিন দিন ক্লাস নেন। কিন্তু তাঁদের ছ’দিন পুরো ক্লাস নিতে হয়।

ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত আদিবাসী পড়ুয়ারা নিখরচায় পড়তে পারে একলব্যে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে নজরকাড়া ফলও হচ্ছে। ইংরেজি মাধ্যম সরকারি আবাসিক স্কুলটিতে বর্তমান ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ৪৫৭ জন। ৩৫ জন শিক্ষকের মধ্যে ২০ জন অতিথি শিক্ষক। বাকিরা চুক্তিভিত্তিক। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের খাতাও অতিথি শিক্ষকদের দেখতে হয়। তাঁদের চুক্তিভিত্তিক করার আবেদন করেন অতিথি শিক্ষক-শিক্ষিকারা। মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকাকে দেখে নিতে বলেন।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে খবর, ২০১৬ সালে স্কুলের দায়িত্ব রামকৃষ্ণ মিশনকে দেওয়ার পরে ২০১৭ সালের ১ এপ্রিল থেকে আর্থিক দায়িত্বও হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে একলব্যের অর্থনৈতিক দায়িত্ব মিশনের হাতে আর নেই। আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হচ্ছে। স্কুলের বার্ষিক বরাদ্দ না বাড়ায় অতিথি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাম্মানিক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। স্কুলের সম্পাদক স্বামী বেদপুরুষানন্দ বলেন, “আদিবাসী ছাত্রছাত্রীদের উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার সেবায় মিশন কাজ করে যাচ্ছে। পড়ুয়াদের স্বার্থে রাজ্যের সহযোগিতা চেয়ে প্রশাসনিক মহলে আবেদন করা হয়েছে।”

রাজ্যের অনগ্রসর কল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী বুলু চিকবরাইক বলেন, “শিক্ষকেরা বেতন পাননি, এমন রিপোর্ট আসেনি। দায়িত্ব ছাড়ার বিষয়টিও এই শুনলাম। রামকৃষ্ণ মিশনের সঙ্গে কথা বলব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement