বিস্ফোরণে উড়ে গিয়েছিল বাড়ির একটা অংশ। ঘটনাস্থল থেকে প্রমাণ লোপাটের আশঙ্কা থেকেই দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। ফাইল চিত্র।
শুভেন্দু অধিকারী আগেই চিঠি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। এ বার ভূপতিনগর বিস্ফোরণে কেন্দ্রীয় তদন্তের দাবি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা হল কলকাতা হাই কোর্টেও। বিস্ফোরণের ঘটনার এনআইএ তদন্ত চেয়ে মামলাকারী আদালতে বলেছেন, ঘটনাস্থল থেকে তথ্য প্রমাণ লোপাট করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।
গত শুক্রবার রাতে কাঁথির ভগবানপুর-২ ব্লকের ভূপতিনগর থানার অর্জুননগর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নাড়ুয়াবিলা গ্রামে তৃণমূলের স্থানীয় বুথ সভাপতির বাড়িতে আচমকাই বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় উড়ে যায় ওই তৃণমূল নেতা রাজকুমার মান্নার বাড়ির ছাদ। মৃত্যু হয় আরও দুই ব্যক্তির।
ঘটনাচক্রে, এই বিস্ফোরণের ঘটনার পরের দিন সকালে কাঁথিতেই সভা করার কথা ছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এর পরই কাঁথির বাসিন্দা বিজেপি নেতা তথা রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু বিস্ফোরণের ঘটনার এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়ে চিঠি দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। কিন্তু বিস্ফোরণের পর ৭২ ঘণ্টা কেটে গেলেও এনআইএ তদন্ত শুরু হয়নি। এর মধ্যেই কলকাতা হাই কোর্টে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার অধীনে তদন্তের দাবিতে মামলা হল।
মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস। এ ব্যাপারে মামলা করার অনুমতি চেয়ে এবং দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়ে তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত ঘটনাস্থলে পৌঁছয়নি ফরেন্সিক দল। তাই সমস্ত তথ্য প্রমাণ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এর পরই প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ মামলা করার অনুমতি দেন। মঙ্গলবারই মামলাটির শুনানি হতে পারে বলে আদালতসূত্রে খবর।
প্রসঙ্গত, ভূপতিনগরের ঘটনার আগের দিনই পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া থানায় বাজেয়াপ্ত করা বাজির বিস্ফোরণে এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের মৃত্যু হয়েছিল। জনস্বার্থ মামলায় এই বিষয়টিরও উল্লেখ রয়েছে।