ফাইল চিত্র।
প্রায় এক দশক ধরে মামলা লড়ে চাকরির স্বীকৃতি আদায় করলেন উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ কলেজের চুক্তিভিত্তিক পিয়ন প্রশান্ত ঘোষ। তাঁর আইনজীবী সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানান, ২০০৫ সালে সরকারি নিয়ম মেনে পরীক্ষার মাধ্যমে চাকরিতে যোগ দেন প্রশান্ত। পরে কলেজে দু’টি পিয়নের পদে সরকারি অনুমোদন মেলে। কিন্তু সরকার মাত্র এক জনের চাকরির স্বীকৃতি দিয়েছিল। এ নিয়ে ২০১২ সালে হাই কোর্টে মামলা হয়। তার পরে আদালতের নির্দেশক্রমে শিক্ষা দফতর প্রশান্তের চাকরির সরকারি স্বীকৃতির সুপারিশ করলেও প্রশান্তের পদ স্বীকৃতি পায়নি। সম্প্রতি বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য নির্দেশ দেন, রায় ঘোষণার আট সপ্তাহের মধ্যে প্রশান্তকে ওই কলেজে পিয়ন পদে নিয়োগ করতে হবে। দিতে হবে এত দিনের বকেয়া বেতনও।
অন্য দিকে, আদালতের রায়ে চাকরি ফিরে পেয়েছেন হুগলির সিঙ্গুর মহামায়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিসকুমার সিংহ। শুক্রবার বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, রায় ঘোষণার ১৫ দিনের মধ্যে আশিসকে চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে এবং তাঁর ন্যায্য পাওনা মেটাতে হবে। স্কুলের নানা অনিয়ম নিয়ে পরিচালন কমিটিকে জানালেও তা কার্যকর হয়নি। তাই ২০২০ সালে ইস্তফা দেন আশিস। পরে পরিচালন সমিতির অনুরোধে ইস্তফা ফিরিয়ে নেন। যদিও ইস্তফাপত্রের ভিত্তিতে পরিচালন সমিতি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ চাকরি বাতিল করে। নিম্ন আদালতে মামলায় সুরাহা না পেয়ে তিনি হাই কোর্টে যান।