Hindu Hostel

রাতে ভেঙে পড়ল হিন্দু হস্টেলের ছাদের একাংশ! কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ

হস্টেলের আবাসিকেরা জানাচ্ছেন, বুধবার রাত প্রায় ১১টা নাগাদ হঠাৎই সমাজতত্ত্বের স্নাতকোত্তর প্রথম বর্ষের ছাত্র ঐশ্নিক দত্তের বিছানায় ভেঙে পড়ে ছাদের একাংশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৬:২৯
Share:
(বাঁ দিকে) ভেঙে পড়া ছাদের অংশ। সারা ঘরে ছড়িয়ে রয়েছে সিলিংয়ের ভাঙা টুকরো (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) ভেঙে পড়া ছাদের অংশ। সারা ঘরে ছড়িয়ে রয়েছে সিলিংয়ের ভাঙা টুকরো (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

ভেঙে পড়ল হিন্দু হস্টেলের ১০১ নম্বর ঘরের ছাদের একাংশ! তা-ও আবার এক ছাত্রের বিছানায়! বুধবার রাতের ওই ঘটনার পরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রাবাসে। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনে সরব হয়েছেন ছাত্রেরা।

Advertisement

হস্টেলের আবাসিকেরা জানাচ্ছেন, বুধবার রাত প্রায় ১১টা নাগাদ হঠাৎই সমাজতত্ত্বের স্নাতকোত্তর প্রথম বর্ষের ছাত্র ঐশ্নিক দত্তের বিছানায় ভেঙে পড়ে ছাদের একাংশ। যদিও ঘটনার সময় ওই ছাত্র ঘরে ছিলেন না। তাই ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান তিনি। ওই ঘটনায় ঘরের অন্য কোনও আবাসিক ছাত্রেরও তেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে রয়েছেন হিন্দু হস্টেলের আবাসিকেরা। পাশাপাশি, কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনেছেন ছাত্রদের একাংশ। ছাত্রদের দাবি, গত বেশ কয়েক মাস ধরে কর্তৃপক্ষকে হিন্দু হস্টেলের ঘরগুলির দুরবস্থা সম্পর্কে জানানো হয়েছে। তা সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ করেননি কর্তৃপক্ষ। ছাত্রদের আরও অভিযোগ, গত রাতেই বিষয়টি হস্টেলের কর্মী আশিসকুমার কর্মকারকে জানালেও সাহায্য মেলেনি। ছাত্রদের দাবি, প্রথমে ১০১ নম্বর রুমে যেতেও চাননি তিনি। উল্টে ছাত্রদের বলা হয়, আবাসিকেরা যেন রাতটুকু কোনও ভাবে কাটিয়ে দেন। এর পর তিনি ঘুমোতে চলে যান বলেও অভিযোগ। যদিও ছাত্রদের চাপের মুখে পড়ে শেষমেশ ওই ঘরের আবাসিকদের অন্য একটি ঘরে থাকার ব্যবস্থা করে দেন তিনি।

অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যাওয়া ঐশ্নিক বলছেন, ‘‘সাড়ে ১০টা নাগাদ একটু বেরিয়েছিলাম। হঠাৎ বন্ধুর ফোন পেয়ে ছুটে ঘরে এসে দেখি এই অবস্থা।’’ ছাত্রদের বক্তব্য, ভবিষ্যতে এই ধরনের ঝুঁকি এড়াতে শীঘ্রই ব্যবস্থা নিতে হবে কর্তৃপক্ষকে। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তাঁরা।

Advertisement

যদিও ডিন অফ স্টুডেন্টস্ অরুণকুমার মাইতির কথায়, ‘‘বুধবার রাতে সিলিং থেকে প্লাস্টার খুলে পড়েছে বলে খবর পাই। আমরাও জানি যে এটা পুরনো বিল্ডিং, সংস্কারের দায়িত্ব রয়েছে পিডব্লিউডি-র হাতে। হস্টেলের কোনও ঘরের সিলিংয়ে ফাটল দেখা দিলে তা আগে থেকে জানাতে হবে। তা হলে ব্যবস্থা নেওয়া যেত। তবে যা হয়েছে, তা একেবারেই কাম্য নয়। রাতে খবর পেয়েই আমরা পিডব্লিউডি-কে জানাই। সকালে তারা এসে পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখে গিয়েছে। শুধু ওই ঘরটিই নয়, অন্য ঘরগুলিতে কোথাও এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কি না, তা-ও দেখে গিয়েছে তারা। শীঘ্রই সংস্কারের কাজ শুরু হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement