প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
সিমেস্টারভিত্তিক উচ্চ মাধ্যমিকে পাশ মার্ক নিয়ে এ বার প্রশ্ন তুললেন শিক্ষকদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, প্রতি সিমেস্টারে পাশ-ফেলের বিচার না করে দু’টি সিমেস্টার মিলিয়ে পাশ-ফেল হিসাব করা হবে বলে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ জানিয়েছে। তার ফলে কেউ প্রথম সিমেস্টারে পুরো পাশ নম্বর তুলে নিলে দ্বিতীয় সিমেস্টারে শূন্য পেলেও পাশ করে যাবে। এই ব্যবস্থা শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির সহায়ক নয় বলেও তাঁদের বক্তব্য।
শুক্রবার সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানান, দ্বাদশের দু’টি সিমেস্টার মিলিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলের হিসাব হবে। ল্যাবরেটরিভিত্তিক বিষয়ে সিমেস্টারে মোট লিখিত নম্বর ৭০ এবং ল্যাবরেটরিভিত্তিক না হলে ৮০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হবে। পাশ করতে গেলে যথাক্রমে ২১ এবং ২৪ (মোট নম্বরের ৩০ শতাংশ) পেতে হবে। প্রতি সিমেস্টারে ন্যূনতম পাশ মার্ক বলে কিছু থাকবে না।
শিক্ষকদের একাংশের বক্তব্য, এর বদলে পাশ করতে হলে প্রতি সিমেস্টারে ন্যূনতম কত নম্বর পেতে হবে তা ঠিক করা উচিত ছিল। বেলগাছিয়ার মনোহর অ্যাকাডেমির বাংলার শিক্ষিকা সুমনা সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘৪০ নম্বরের সিমেস্টারের পরীক্ষায় পাশ নম্বর ২৪। তাহলে এমন নিয়ম করা যেতে পারে যে প্রতি সিমেস্টারে ১২ করে পেতেই হবে। আর ৩৫ নম্বরের সিমেস্টারের পরীক্ষায় পাশ নম্বর ২১ তা হলে প্রতি সিমেস্টারে নূন্যতম সাড়ে দশ পেতেই হবে।’’ পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু বলেন, ‘‘দু’টি সিমেস্টারে ন্যূনতম নম্বর থাকা দরকার। আমাদের আরও দাবি, চারটি সিমেস্টার মিলিয়েই উচ্চ মাধ্যমিকের মূল্যায়ন করা হোক। এটাই সিমেস্টার পদ্ধতির মূল নীতি।’’