একদিনে ৮টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বিধানচন্দ্র রায় হাসপাতাল ছাড়াও মৃত্যুর খবর এসেছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ এবং বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ থেকে। গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও এক শিশুর মৃত্যু হল। তীব্র শ্বাসকষ্টের সমস্যায় কষ্ট পাচ্ছিল শিশুটি। নারকেলডাঙার বিধানচন্দ্র রায় শিশু হাসপাতালে দিন সাতেক আগেই ভর্তি করানো হয়েছিল তাকে। মঙ্গলবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে মৃত্যু হয় তার। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুটির মৃত্যুর শংসাপত্রে জানিয়েছেন, অ্যাডিনোভাইরাস থেকে হওয়া নিউমোনিয়ার কারণেই তীব্র শ্বাসকষ্টে মৃত্যু হয়েছে তার। এই নিয়ে শনিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত জ্বর এবং শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে ১৩টি শিশুর মৃত্যু হল। এদের মধ্যে বেশ কয়েক জনের শরীরে অ্যাডিনোভাইরাসের সংক্রমণও পাওয়া গিয়েছে।
শুধু মঙ্গলবারই আটটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে। বিধানচন্দ্র রায় হাসপাতাল ছাড়াও মৃত্যুর খবর এসেছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ এবং বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ থেকে। মঙ্গলবার রাত দশটা নাগাদ নারকেলডাঙার হাসপাতালে যে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে, তার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগণার অশোকনগরে। মৃত শিশুটির নাম সোহন পাল। তাঁর বয়স ২ বছর ৪ মাস। জ্বর এবং শ্বাসকষ্টের জন্য গত বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারি তাকে ভর্তি করানো হয়েছিল বিধানচন্দ্র রায় হাসপাতালে। অ্যাডিনোভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছিল তার শরীরে। টানা ছ’দিন চিকিৎসার পরেও শ্বাসকষ্টের সমস্যা থেকে মুক্তি পায়নি শিশুটি। চিকিৎসকেরা বাঁচাতে পারেননি তাকে।
রাজ্যে ক্রমেই বাড়ছে অ্যাডিনো-আতঙ্ক। এই ভাইরাসের সংক্রমণে মূলত আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরাই। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই সতর্কতা অবলম্বন করতে শুরু করেছে উদ্বিগ্ন প্রশাসন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ‘অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনউফেকশন’ বা এআরআই উপসর্গ থাকা শিশুরোগীদের জন্য করোনার সময়ের মতো হেল্পলাইন চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক স্বাস্থ্যকর্তা এমনও জানিয়েছেন যে, ইতিমধ্যেই সরকারের তরফে সতর্কতামূলক বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছে। আরও এক সপ্তাহ পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখার পর নতুন পদক্ষেপের কথা চিন্তাভাবনা করবে সরকার।