—প্রতীকী ছবি।
এক দিন নিখোঁজ থাকার পর তৃণমূলের শ্রমিক নেতার দেহ উদ্ধার হল জলপাইগুড়ির মালবাজারে। চা বাগানের ওই শ্রমিক নেতাকে খুনের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জনকে আটক করেছে মালবাজার পুলিশ।
তৃণমূল সূত্রে খবর, মৃতের নাম সুনীল লোহা। মাল ব্লকের রাঙামাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের নিদাম চা বাগানের এই শ্রমিক নেতা শুক্রবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন। আশপাশে খোঁজাখুঁজি করেও হদিস না মেলায় সুনীলের পরিবার মাল থানার দ্বারস্থ হয়। নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করে তারা। শনিবার দুপুর থেকে তদন্তে নামে মালবাজার থানার পুলিশ। এর পর রাত ১০টা নাগাদ নিদাম চা বাগানের ভাঙা পুলের অদূরে পাম্প ঘরের কাছে পাওয়া যায় সুনীলের দেহ। মৃতের স্ত্রী ভারতী লোহার বলেন, ‘‘নিদামের বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য সুরজ দর্জি ও অন্যান্যরা মিলে খুন করেছে। বেশ কয়েক দিন ধরেই রাজনৈতিক উত্তেজনা চলছিল। গতকাল থেকেই নিখোঁজ ছিল। কিন্তু মৃতদেহ উদ্ধার হবে, তা কল্পনাও করতে পারিনি।’’
সুনীল খুনে অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবিতে রবিবার মাল থানার সামনে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন তৃণমূল কর্মীরা। এসডিপিওর নেতৃত্বে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসডিপিও বলেন, ‘‘পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করছে, দু’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। শীঘ্রই সত্য প্রকাশ পাবে।’’
তৃণমূলের মাল ব্লক সভাপতি সুশীলকুমার প্রসাদ বলেন, ‘‘দোষীদের শাস্তি চাই। মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা।’’ রাঙ্গামাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অশোক চিক বরাইক বলেন, ‘‘সুনীল আমাদের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। তাঁর খুনিদের ফাঁসি চাই। পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করুক।’’ মাল বিধানসভার বিজেপি নেতা রাকেশ নন্দী বলেন, ‘‘আমরাও এই ঘটনায় দুঃখ করছি। পুলিশ তার কাজ স্বাধীন ভাবে করবে, সেটাই আশা করছি।’’