ঘুম ভেঙে দেখেন, নালায় পড়ে হাতি

তাঁদের চেষ্টায় পে লোডার দিয়ে মাটি কেটে গর্তের গভীরতা কমিয়ে দিলে শেষ অবধি উঠে দাঁড়াতে পারে হাতিটি। তার পরে সে সটান ঢুকে যায় জঙ্গলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ওদলাবাড়ি শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৫:০২
Share:

বিপাকে: নালায় পড়ে হাতির শাবক। সোমবার ওদলাবাড়ি চা বাগানে। —নিজস্ব চিত্র।

ভোর রাতে তার আর্ত চিৎকারে ঘুম ভেঙে গিয়েছিল চা বাগানের শ্রমিক মহল্লার। ঘর ছেড়ে বার হয়ে এসে নন্দু ওঁরাও, পার্শ্বনাথ বরাইকরা দেখেন, বাগানের নালার মধ্যে একটি হাতির শাবক উল্টে পড়ে রয়েছে। উপর দিকে উঠে থাকা পা ছুড়ছে মাঝে মাঝে। সঙ্গে সঙ্গে বনকর্মীদের খবর দেওয়া হয়। তাঁদের চেষ্টায় পে লোডার দিয়ে মাটি কেটে গর্তের গভীরতা কমিয়ে দিলে শেষ অবধি উঠে দাঁড়াতে পারে হাতিটি। তার পরে সে সটান ঢুকে যায় জঙ্গলে।

Advertisement

সোমবার ডুয়ার্সের তারঘেরা রেঞ্জের গজলডোবা বিটের জঙ্গল লাগোয়া ওদলাবাড়ি চা বাগানের ঘটনা। পরে বনকর্মীরা জানান, এলাকাটি মহানন্দা-আপালচাদ বা এক নম্বর হাতি করিডরভুক্ত। রবিবার গভীর রাতে ৪০টির মতো বুনো হাতির একটি দল ঘিস নদী পেরিয়ে বাগানে ঢোকে। সেই দলেই এই শাবক হাতিটি ছিল বলে মনে করছেন বনকর্মীরা। কোনও ভাবে সে সরু নালায় পড়ে যায়। তারঘেরা এলাকার রেঞ্জার দুলাল ঘোষ বলেন, “এটি একটি বছর দেড়েক বয়সের স্ত্রী হাতি।’’

হাতিটির পড়ে যাওয়ার খবর পেয়ে তারঘেরা রেঞ্জ এবং মালবাজার বন্যপ্রাণী স্কোয়াডের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসেন। ভিড় সামাল দিতে আসতে হয় মালবাজার থানার পুলিশকেও। অবস্থা দেখে নালা কেটে বড় করার সিদ্ধান্ত নেন বনকর্মীরা। তার পরে পে লোডার এনে মাটি কেটে নালাটি চওড়া করে দিতেই হাতি শাবক পায়ের নীচে জমি পেয়ে যায়।

Advertisement

যে ভাবে হাতিটি পড়েছিল, তাতে তার শারীরিক কোনও ক্ষতি হয়েছে কিনা, সে দিকেও নজর রাখছে বন দফতর। রেঞ্জার দুলাল ঘোষ বলেন, ‘‘হাতিটি জঙ্গলে কেমন রয়েছে, সেটি আমরা খতিয়ে দেখতে নজরদারি চালাচ্ছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement