সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে যুবকদের। নিজস্ব চিত্র।
দুর্গাপ্রতিমা বিসর্জনে সম্প্রীতির ছবি দেখা গেল মেদিনীপুর শহরে। প্রতিমা নিরঞ্জনের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন শহরের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বহু যুবক। সোমবার মেদিনীপুর পুরসভা কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁদের মধ্যে ৭০ জনকে সংবর্ধনা দেওয়া হল।
বিসর্জনের পর শহরের পুকুর বা নদীঘাট পরিষ্কারের সময় সংখ্যালঘু ওই যুবকদের সংবর্ধনা জানান মেদিনীপুর পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান সৌমেন খান। তিনি বলেন, ‘‘দুর্গাপুজোর পর দশমী থেকে পুরসভা এবং কোতোয়ালি থানার উদ্যোগে কাঁসাই নদীর গাঁধী ঘাট এবং ডিএভি ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বিসর্জনের পর কাঠামো-সহ অন্যান্য সামগ্রী সরিয়ে ঘাট পরিষ্কারের কাজে যুক্ত ছিলেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৭০ জন যুবক। মেদিনীপুর শহর সম্প্রীতির শহর। তাই তাঁদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।’’
পুরসভা সূত্রে খবর, মেদিনীপুর শহরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাথরঘাটা এলাকার বাসিন্দা শেখ আব্দুল মতিন মেদিনীপুর পুরসভা এবং কোতোয়ালি থানার সহযোগিতায় বিসর্জন ও তার পর ঘাট পরিষ্কারের কাজ করেছেন। মতিন জানিয়েছেন, বেশ কয়েক বছর ধরেই পুরসভার থেকে দায়িত্ব নিয়ে এ কাজ করছেন। শেখ সাজু, শেখ ইরফান, লুলু দাস এবং রঞ্জিত রানা-সহ মোট ৭০ জন প্রতিমা বিসর্জনের কাজে হাত লাগিয়েছিলেন। নদীর জলে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া থেকে শুরু করে কাঠামো অন্যত্র সরিয়ে রাখা বা ফুল, বেলপাতা, মাটির ভার— সব কিছু আলাদা করার কাজও করেছেন তাঁরা।