—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
টেট পাস করেও শংসাপত্র না-পাওয়ায় কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ৬০ জন প্রাথমিক শিক্ষক। তাঁদের অভিযোগ, ওই শংসাপত্র না থাকায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে বারবার সিবিআইয়ের কাছে হেনস্থা হতেহচ্ছে। যদিও তাঁদের কাছে নিয়োগপত্র এবং কোর্টের নির্দেশের প্রতিলিপি আছে।
সোমবার এই মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিংহের নির্দেশ, এই মামলায় সিবিআইকে যুক্ত করতে হবে। টেট সংক্রান্ত নথি সিবিআইয়ের কাছে আছে কি না, তাও জানাতে হবে। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আরও দায়িত্বশীল হওয়া প্রয়োজন।
এ দিন কোর্টে মামলাকারীদের আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত, অর্ক নন্দী এবং দীপা আচার্য জানান যে তাঁদের মক্কেলরা ২০১৪ সালে প্রাথমিক টেট পাশ করেছেন। তার পরে হাই কোর্টের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ওয়েবসাইট থেকে তাঁরা টেট পাশ করার শংসাপত্র পাচ্ছেন না। পর্ষদের আইনজীবী কোর্টে জানান, টেট পাশের শংসাপত্র সংগ্রহের জন্য দশ মাস সময় দিয়েছিল পর্ষদ। নির্দিষ্ট সময়সীমায় আবেদন না করার জন্য শংসাপত্র দেওয়া যায়নি। বর্তমানে ওই তথ্য পর্ষদের হাতে নেই। সেই তথ্য ভান্ডার বর্তমানে সিবিআইয়ের কাছে আছে। ওই তথ্য পেলে শংসাপত্র প্রকাশে কোনও আপত্তি পর্ষদের নেই।
যদিও সুদীপ্ত দাবি করেন যে টেট পাশের মেধা তালিকা পর্ষদের কাছে থাকা উচিত। মামলাকারীদের আইনজীবীরা এ-ও আর্জি জানান যে সিবিআইয়ের কাছে এই তথ্য আছে কি না, তা জানতে চাক আদালত।
উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি সিংহের পর্যবেক্ষণ, পর্ষদের গাফিলতিতে মামলাকারীদের হেনস্থা হতে হচ্ছে। তাই পর্ষদের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার প্রয়োজন। এর পাশাপাশি সিবিআইকে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন যে এই মামলা সংক্রান্ত তথ্য তাঁদের হাতে আছে কি না, তা সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের জানাতে হবে এবং তা থাকলে আদালতে পেশ করতে হবে। আগামিকাল, বুধবার মামলার পরবর্তী শুনানি।