প্রতীকী ছবি।
ধান ক্রয়ে ফড়েদের দাপট নিয়ে আগেই সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ বার ধান কেনার পর তা থেকে চাল তৈরি নিয়ে চালকল মালিকদের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত হলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। শনিবার খাদ্য ভবনে চালকল মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে মন্ত্রী জানান, সরকারি নিয়ম ভাঙায়
কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে ৫৪টি চালকলকে। তাদের ধান ভাঙানোর কাজ দেওয়া হবে না। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গের ২৮টি চালকল রয়েছে।
খাদ্য দফতরের খবর, গণবণ্টন ব্যবস্থায় দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও ৩১৩টি চা বাগানে আতপ চাল দেওয়া হয়। সেই চাল তৈরি করে উত্তরবঙ্গের চালকলগুলি। খাদ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যে তিনটি জেলায় মাসে ১৬ হাজার টন আতপ চাল লাগে। বছরে প্রয়োজন হয় ১ লক্ষ ৯৬ হাজার মেট্রিক টন। সেই মতো উত্তরবঙ্গের চা বাগানগুলির মধ্যে ধান ভাঙিয়ে চাল তৈরির লক্ষ্যমাত্রা বেধে দেওয়া হয়েছে। উত্তরবঙ্গের বাকি চালকলগুলি অবশ্য সিদ্ধ চালই তৈরি করবে।
এখন যে ধান সংগ্রহ হচ্ছে তা সরাসরি চালকলগুলিকে দেওয়া হবে না। মন্ত্রী জানান, গণবণ্টন ব্যবস্থার জন্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চাল মজুত রয়েছে। ফলে এখনই নতুন চাল নেওয়ার প্রয়োজন নেই। তাই ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার গুদামগুলিতে ধান মজুত করা হবে। জানুয়ারির মাঝামাঝি সেই ধান চালকলগুলিতে পাঠানো হবে। খাদ্যমন্ত্রী জানান, জানুয়ারির মাঝামাঝি ধান পেলে চালকলগুলি ৩৮ দিনের মধ্যে তা ভাঙিয়ে সরকারকে চাল দেবে। গত বছর যারা সেই নিয়ম মানেনি, তাদেরই এ বার কালোতালিকাভুক্ত করা হয়েছে।