বিপাকে পড়েছেন অন্তত ৪৫ জন
সৌদি আরবে কাজ করতে গিয়ে বিপদে পড়েছেন প্রায় ৪৫ জন যুবক। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই তেহট্ট এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তেহট্টের বেতাই এলাকার বেশ কিছু যুবক আড়াই বছর আগে স্থানীয় এজেন্টের মাধ্যমে সৌদি আরবে শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিলেন। সেখানে কিছু দিন কাজ চলার পর সেই সংস্থা কাজ বন্ধ করে দেয়। যে কারণে ওই সংস্থা গত ছ’মাস তাদের বেতন বন্ধ করে দিয়েছে। তাদের আরবের নানা জায়গার বিভিন্ন ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। সৌদি আরবে কাজে যাওয়া বেতাই দক্ষিণ জিতপুরের বাসিন্দা কিশোর মজুমদার ফোনে জানান, তাঁরা সকলেই বর্তমানে সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। তেহট্ট এলাকার ৩০ জন ছাড়াও উত্তর চব্বিশ পরগনার বেশ কয়েক জন রয়েছেন সেখানে। আটকে পড়া যুবকেরা জানান, দূতাবাস থেকে এখনও কোনও খোঁজখবর নেওয়া হয়নি। আগের সংস্থা কাজ বন্ধ করে তাঁদের অন্য সংস্থার হাতে দেওয়ায় তাঁরা বিপাকে পড়েছেন। তাঁদের সকলকে এক জায়গায় না রেখে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হয়েছে। গৃহবন্দি অবস্থায় রেখে সবাইকে খাবারটুকু ছাড়া কিছুই দেওয়া হচ্ছে না। বাড়িতে ফেরার মতো সুযোগ বা টাকা কোনওটাই তাঁদের নেই। তেহট্টের বিধায়ক গৌরীশঙ্কর দত্ত বলেন, ‘‘বিপদগ্রস্তদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে, প্রশাসনকে জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তেহট্টের মহকুমা শাসক অনীশ দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘সৌদি আরবে আটকে পড়া মানুষদের পরিবারের কাছ থেকে তাঁদের কাগজপত্র দেখে জেলা শাসককে জানিয়ে ব্যবস্থা নেব।’’ সৌদি আরবে কাজ করতে গেলে সে দেশের সরকারের দেওয়া একটি অনুমতিপত্র পাওয়া যায়। যার প্রতি বছর পুনর্নবীকরণ করতে হয়। অনুমতিপত্র না থাকলে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে ধরা হয়। অনুমতিপত্র পুনর্নবীকরণ না করায় আটকে পড়া যুবকদের অনেকের তা বাতিল হয়ে গিয়েছে।