পুনর্বিন্যাসের পরে খসড়া তালিকায় গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন ছিল ৬২,৩৬৪টি। প্রতীকী ছবি।
নভেম্বরে প্রকাশিত খসড়া তালিকার তুলনায় চূড়ান্ত তালিকায় গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন-সংখ্যা বেড়েছে ৪০টি। ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের অন্য দু’টি স্তর অর্থাৎ পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদে আসনের সংখ্যায় কোনও হেরফের হয়নি। রাজ্য নির্বাচন কমিশন আগেই পঞ্চায়েত ভোটের যে-প্রস্তুতি শুরু করেছিল, তারই অঙ্গ হিসেবে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে আসন পুনর্বিন্যাসের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। পুনর্বিন্যাসের পরে খসড়া তালিকায় গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন ছিল ৬২,৩৬৪টি। চূড়ান্ত তালিকায় তা হয়েছে ৬২,৪০৪।
খসড়া তালিকায় পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের আসন-সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৯৪৯৮ এবং ৯২৮। চূড়ান্ত তালিকায় দু’টি সংখ্যাই অপরিবর্তিত আছে। তবে খসড়ায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার গ্রাম পঞ্চায়েতে যত আসন ছিল, চূড়ান্ত তালিকায় তার থেকে ন’টি আসন কমে গিয়েছে। উত্তর দিনাজপুরে গ্রাম পঞ্চায়েতে আসন বেড়েছে আটটি, পূর্ব বর্ধমানে ২৬টি এবং পুরুলিয়ায় ১৫টি।
আসন পুনর্বিন্যাসের কাজ হয় ১০ বছর অন্তর। যে-পুনর্বিন্যাসের ভিত্তিতে ২০১৮ সালে ভোট হয়েছিল, তার থেকে এ বছরের পুনর্বিন্যাস প্রক্রিয়ায় ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে আসন বেড়েছে অনেকটাই। যেমন, ২০১৮ সালের তুলনায় এ বার গ্রাম পঞ্চায়েতে আসন বেড়েছে ১৩,৭৫৪টি। পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদে আসন বেড়েছে যথাক্রমে ২৮১ এবং ১০৩টি।
কমিশন সূত্রের ব্যাখ্যা, প্রতি বারেই আসন পুনর্বিন্যাসে কিছু নিয়ম মানতে হয়। প্রতি গ্রাম পঞ্চায়েতে ৯০০ জন ভোটারের জন্য একটি করে আসন বরাদ্দ হয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রতি ৪৫০০ জন ভোটার থাকলে একটি আসন নির্দিষ্ট করেছে কমিশন। প্রতিটি ব্লকের একটি পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষেত্রে সর্বাধিক তিনটি আসন হতে পারে জেলা পরিষদে। সে-ক্ষেত্রে ৬০ হাজার ভোটার থাকলে একটি আসন নির্দিষ্ট হয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েতে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, এর পরে সংরক্ষণের চূড়ান্ত পর্ব শুরু হবে। আধিকারিকদের অনেকেই জানাচ্ছেন, কোন আসন কোন ক্ষেত্রের জন্য সংরক্ষিত হবে, তা নির্দিষ্ট করে ৭ ডিসেম্বর খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে। আপত্তি বা দাবি জানানো যাবে ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে। সেই প্রক্রিয়ার পরে চূড়ান্ত আসন সংরক্ষণের তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন।