Kaliaganj

নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে আনার ঘটনায় চার এএসআই-কে সাসপেন্ড করল রায়গঞ্জ জেলা পুলিশ

সাসপেন্ড হওয়ার পরে প্রকাশ্যে মুখে কুলুপ এঁটেছেন ওই চার পুলিশকর্মী। তবে তাঁদের এক জন ঘনিষ্ঠমহলে দাবি করেছেন, জেলা পুলিশের কর্তারা সে দিন সকাল থেকেই ওই মৃতদেহ উদ্ধার করার নির্দেশ দিচ্ছিলেন।

গৌর আচার্য 

শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৩ ০৬:৩৮
Share:
West Bengal Police

চার অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টরকে (এএসআই) সাসপেন্ড করল রায়গঞ্জ জেলা পুলিশ। প্রতীকী ছবি।

রবিবারই একান্ত আলাপে তাঁরা আশঙ্কা করেছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হতে পারে। সোমবার উত্তর দিনাজপুরে নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে আনার ঘটনায় চার অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টরকে (এএসআই) সাসপেন্ড করল রায়গঞ্জ জেলা পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে অমানবিক ভাবে নাবালিকার দেহ উদ্ধার করার অভিযোগ উঠেছে। এই চার জনকে আপাতত জেলা পুলিশ লাইনে ‘ক্লোজ়’ করা হয়েছে। রায়গঞ্জ পুলিশ-জেলার সুপার মহম্মদ সানা আখতার বলেন, “বিভাগীয় তদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে ওই চার এএসআই-কে সাসপেন্ড করা হয়েছে।” তবে সূত্রের খবর, এই ঘটনায় জেলার নিচুতলার পুলিশ কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে।

সাসপেন্ড হওয়ার পরে প্রকাশ্যে মুখে কুলুপ এঁটেছেন ওই চার পুলিশকর্মী। তবে তাঁদের এক জন ঘনিষ্ঠমহলে দাবি করেছেন, জেলা পুলিশের কর্তারা সে দিন সকাল থেকেই ওই মৃতদেহ উদ্ধার করার নির্দেশ দিচ্ছিলেন। বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হতেই তাঁরা দৌড়ে কোনও মতে মৃতদেহটি উদ্ধার করেন। দেহ উদ্ধারের সময়ে তাঁদের দিকে ইট-পাটকেল উড়ে আসছিল। তাই প্রাণ বাঁচাতে তাঁরা দেহটি নিয়ে দৌড়ন।

সূত্রের খবর, এই নিয়েই পুলিশের নিচুতলায় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। একাধিক পুলিশকর্মীর দাবি, ওই চার পুলিশকর্মী জেলা পুলিশের কর্তাদের নির্দেশ পালন করেছিলেন। নির্দেশ পালন করতে গিয়ে যদি এ ভাবে শাস্তির মুখে পড়তে হয়, তা হলে এর পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে গিয়ে তাঁরা দ্বিধায় পড়তে পারেন। মনে হতে পারে যে, কর্তারা এখন যা করতে বলছেন, পরে তার জন্য তাঁদের পাশে দাঁড়াবেন না। তাতে বাহিনীর মনোবলে প্রভাব পড়তে পারে।

জেলা পুলিশের এক কর্তার দাবি, মৃতদেহ উদ্ধারের ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় সরকার এবং বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল-সহ নানা মহলের নিন্দার মুখে পড়ে পুলিশ। ভাবমূর্তি বজায় রাখতে রাজ্য পুলিশ জেলা পুলিশকে ওই চার কর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত ও প্রয়োজনে তাঁদের সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেয়। ভবিষ্যতে ওই মামলার সিবিআই-তদন্ত হলে, পুলিশকে যাতে প্রশ্নের মুখে পড়তে না হয়, সেটিও ওই চার জনকে সাসপেন্ড করার অন্যতম কারণ বলে পুলিশ সূত্রের দাবি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন