State news

একটা ফোনের সূত্র ধরেই ৩ বছর পর কিনারা সল্টলেকের গণধর্ষণ মামলার

২০১৬ সালে সল্টলেকের একটি গণধর্ষণের মামলায় তথ্যপ্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে চার অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করল বারাসত আদালত। সোমবার তাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ২৩:৩৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

২০১৬ সালে সল্টলেকের একটি গণধর্ষণের মামলায় তথ্যপ্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে চার অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করল বারাসত আদালত। সোমবার তাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

Advertisement

ঘটনাটা ২০১৬ সালের। রাত ১১টা নাগাদ একটি রেস্তরাঁয় যাওয়ার জন্য সল্টলেক সেক্টর-৫ এর ২০৬ বাসস্ট্যান্ডে গাড়ি থেকে নামে নিগৃহীতা নেপালি তরুণী। তরুণীর অভিযোগ, সে সময়ই পিছন থেকে একটা সাদা টাটাসুমো গাড়ি তাঁর পাশে এসে পৌঁছয়। কিছু বুঝে ওঠার আগে গাড়ির ভিতরে তাঁকে টেনে তুলে নেওয়া হয়। গাড়িতে চারজন ছিল। সারা রাত ধরেই তাঁর উপর যৌন নির্যাতন চালায় তারা। একাধিক বার ধর্ষণ করা হয় তাঁকে।

তরুণী পুলিশকে জানিয়েছিলেন, বারবার নির্যাতনে তিনি কিছুক্ষণের জন্য অচৈতন্য হয়ে পড়েছিলেন। হুঁশ ফিরলে তিনি শুনতে পান, তাঁকে খুন করার পরিকল্পনা করছে ওই চারজন। এরপর তরুণী গাড়ি থেকে ঝাঁপ দেন। সঙ্গে করে দোষীদের একটি মোবাইলও নিয়ে ছিলেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: বজবজে গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কাউন্সিলর, আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি হাসপাতালে

পুলিশ জানিয়েছে, সেই মোবাইলের সূত্র ধরেই তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে ওই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। এবং তারাই যে দোষী, তা প্রমাণ করা হয়।

কী ভাবে তাদের দোষী প্রমাণ করা সম্ভব হয়?

যে মোবাইলটা তরুণীর কাছে থেকে গিয়েছিল। ঘটনার সময় ওই মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ঘটনাস্থলেই পাওয়া গিয়েছে। তরুণী যে ঠিক কথা বলছেন এবং গ্রেফতার হওয়া চারজনই দোষী তা এর থেকেই প্রমান করা সহজ হয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন: ১৭ ঘণ্টার লড়াই শেষ, নিহত কামরান-সহ তিন জঙ্গি, চার সেনা ও এক পুলিশকর্মীর মৃত্যু

সাইবার অপরাদমন বিশেষজ্ঞ বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ মামলায় তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে আমি দেখিয়ে দিয়েছিলাম অভিযুক্তরা ওই সময়ে কোথায় ছিল এবং তাদের টাওয়ার লোকেশনের সঙ্গে নিগৃহীতার টাওয়ার লোকেশনেরও মিল পাওয়া গিয়েছিল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement