তখন র়ডবিদ্ধ। হাসপাতালে উদয় সর্দার। —নিজস্ব চিত্র।
নির্মীয়মাণ বাড়ির দোতলা থেকে পড়েগিয়েছিলেন। পেটে তিনটি লোহার রড ঢুকে গুরুতর জখম হয়েছিলেন এক শ্রমিক। বুধবার রাতেই হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে তাঁর পেট থেকে বার করা হল ওই তিনটি র়ড। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আপাতত স্থিতিশীল রয়েছেন তিনি।
বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুর থানার চম্পাহাটির চিনের মোড় এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, দুপুর দুটো নাগাদ একটি বাড়ির দোতলার ছাদে কাজ করছিলেন উদয় সর্দার নামে ওই ব্যক্তি। বাড়িটির ছাদের পাশ দিয়ে বিদ্যুতের তার গিয়েছে। কোনও ভাবে তাতে হাত লেগে যায় উদয়ের। এর পরেই বেসামাল হয়ে ছাদ থেকে নীচে পড়ে যান তিনি। নীচে লোহার রডের উপরে সিমেন্টের ঢালাই করে স্তম্ভ তৈরি হচ্ছিল। কাজ সমাপ্ত না হওয়ায় তখনও রড বেরিয়েছিল। সোজা সেই রডের উপরেই গিয়ে পড়েন উদয়। তিনটি রড উদয়ের পেটের বাঁ দিকে ঢুকে যায়।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, উদয়ের কয়েক জন সহযোগী তাঁকে ওই স্তম্ভ থেকে না তুলে লোহার রডগুলি করাত দিয়ে কেটে ফেলেন। তার পরে অটোয় করে উদয়কে বারুইপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গোটা সময়ে তিনটি রড উদয়ের পেটেই গেঁথে থাকে। বারুইপুর হাসপাতালের চিকিৎসকেরা উদয়ের প্রাথমিক চিকিৎসা করেন। সেখানে তাঁকে স্যালাইন দেওয়া হয়। ওই রড বিদ্ধ জায়গায় ওষুধও দেওয়া হয়। কিন্তু ওই হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানান, ওই তিনটি লোহার রডের টুকরো প্রায় ফুঁড়ে দিয়েছে ওই ব্যক্তির শরীর। রড বার করার জন্য কঠিন অস্ত্রোপচার করা প্রয়োজন। কিন্তু সেই পরিকাঠামো বারুইপুর হাসপাতালে নেই। তাই উদয়কে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। চিকিৎসকেরা জানান, ঘটনার পরেও উদয়ের জ্ঞান ছিল। সমস্ত ঘটনা তিনি চিকিৎসকদের জানাতে পেরেছেন।
উদয়ের বাড়ি জীবনতলা থানার ঘুটিয়ারি শরিফ এলাকায়। উদয়ের পরিজনেদেরও খবর দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়েরা। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর অস্ত্রোপচার হয়েছে। রডগুলিও বের করা হয়েছে।অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল।