ওষুধ খাইয়ে এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে হাবরার প্রফুল্লনগরে। পুলিশ জানিয়েছে ধৃতদের নাম সুমন দাস ও রাজু অধিকারী। সুমনের বাড়ি হাবরা থানার আশুতোষ কলোনিতে। রাজুর হাবরার স্টাফ কোয়ার্টার এলাকার বাসিন্দা। রবিবার সন্ধ্যায় এই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার সকালে ধৃতদের বারাসত জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের সাত দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়েটির বাড়ি দত্তপুকুরের গোপালপুর এলাকায়। মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে বছর ষোলোর ওই কিশোরী। ৯ অক্টোবর ট্রেনে চেপে হাবরা স্টেশন পৌঁছয় সে। সেখানেই পরিচয় হয় রাজু ও সুমনের সঙ্গে। ওই কিশোরীর দাবি, খানিকটা গায়ে পড়েই আলাপ করে দু’জন। পরে তিন জন ট্রেন ধরে চলে যায় দমদমে। সেখান থেকে দক্ষিণেশ্বরে যায়। সেখানেই মেয়েটি অসুস্থবোধ করে। মেয়েটি পুলিশকে জানিয়েছে, রাজু সে সময়ে তাকে বলে, অশোকনগরে একটি ওষুধের দোকান তার পরিচিত। সেখান থেকে ওষুধ কিনে দেবে।
অশোকনগরের একটি দোকান থেকেই ওষুধ কিনে খাওয়ানো হয় মেয়েটিকে। তারপর সে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে বলে ওই কিশোরীর দাবি। বিশ্রাম নেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ার অজুহাতে সুমন ও রাজু মেয়েটিকে নিয়ে যায় প্রফুল্লনগরের একটি পরিত্যক্ত ঘরে। সেখানেই মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। রাত ১১টা নাগাদ মেয়েটিকে অসুস্থ অবস্থায় ওই দুই যুবক ধরাধরি করে বাইরে নিয়ে যাওয়ার সময়ে সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। জিজ্ঞাসাবাদ করলে মেয়েটিকে ফেলে কোনও মতে পালায় ওই দুই যুবক।
এলাকার বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠায়। মেয়েটি এ ক’দিন অসুস্থ ছিল। তার সঙ্গে কথা বলতে পারেনি পুলিশ। রবিবার চিকিত্সকেরা পুলিশকে জানান, ওই কিশোরী এখন কথা বলার মতো অবস্থায় এসেছে। তারপরেই পুলিশ তার বয়ান নেয়। খবর দেওয়া হয় মেয়েটির বাড়িতে। মেয়েটির বাবা রবিবারই থানায় অভিযোগ করেন। তারই ভিত্তিতে সুমন ও রাজুকে তাদের বাড়ির থেকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। মেয়েটি আপাতত চিকিত্সাধীন।