রাস্তার পাশে বালি, প্রাণ গেল যুবকের

রাস্তার উপরে রাখা বালির স্তূপই প্রাণ নিল যুবকের। বুধবার সকালে ওই বালিতে পিছলে সাইকেল থেকে রাস্তায় পড়ে গেলে লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশ জানিয়েছে, ডায়মন্ড হারবারের গুরুদাসনগর রেলগেটের কাছে ওই দুর্ঘটনায় মৃতের নাম কালীপদ পুরকাইত (৩৫)।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদাদতা

ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:২১
Share:

রেলগেটের কাছে দুর্ঘটনাস্থল থেকে বালি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

রাস্তার উপরে রাখা বালির স্তূপই প্রাণ নিল যুবকের।

Advertisement

বুধবার সকালে ওই বালিতে পিছলে সাইকেল থেকে রাস্তায় পড়ে গেলে লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশ জানিয়েছে, ডায়মন্ড হারবারের গুরুদাসনগর রেলগেটের কাছে ওই দুর্ঘটনায় মৃতের নাম কালীপদ পুরকাইত (৩৫)। তিনি স্থানীয় বোলসিদ্ধি গ্রামের বাসিন্দা। এ দিকে দুর্ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা লরি চালককে আটক করে ইমারতি ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে শিয়ালদহ-ডায়মন্ড হারবার শাখার গুরুদাসনগর স্টেশনে ঘণ্টাখানেক রেল অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। পরে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে। পুরপ্রধান মীরা হালদার বলেন, “রাস্তার পাশে এ ভাবে মালপত্র রেখে যারা ব্যবসা করছে, তাদের একাধিকবার সতর্ক করা হয়েছে। মাইকে প্রচারও করা হয়েছে। আবারও পুলিশকে বলব, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে।”

ডায়মন্ড হারবার স্টেশন মোড় থেকে গুরুদাসনগর স্টেশন‌ হয়ে হটুগঞ্জ মোড় পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটারের অপরিসর পিচ রাস্তার দু’পাশ জুড়ে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ২৫-৩০টি ইমারতির দোকান। এর মধ্যে গুরুদাসনগর স্টেশন থেকে হটুগঞ্জের দিকে যেতে বারদ্রোন মোড় পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তা একেবারেই বেহাল। স্থানীয় বাসিন্দারা জানালেন, খানাখন্দে ভরা ওই রাস্তায় দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। তার উপরে দোকানগুলির সামনে কখনও লরি দাঁড় করিয়ে মালপত্র ওঠানো-নামানো চলে। কখনও আবার রাস্তার উপরে ঢালাও ইট-বালি-পাথর ফেলে রাখায় যান চলাচলে চরম সমস্যা তৈরি হয়।

Advertisement

অবরোধকারীদের অভিযোগ, রাস্তা জবর দখল করে ইমারতির ব্যবসা রমরমিয়ে চলছে। পুলিশ প্রশাসন সব জেনেও নির্বিকার। অবরোধকারীদের মধ্যে মৃতের প্রতিবেশী দেবকুমার, রমেন পুরকাইতরা এ দিন দাবি করেন, বেহাল রাস্তা ও ইমারতি দোকানের মালপত্র রাস্তার উপরে ফেলে রাখার জন্যই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনাস্থলের ওই বালির মালিক বাবলু শেখের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার এবং লরি চালককে গ্রেফতারের দাবি জানান তাঁরা। তবে ওই ইমারতি ব্যবসায়ীর সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা যায়নি। দুর্ঘটনার পরে থেকে বিকেল পর্যন্ত তাঁর দোকান বন্ধ ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, লরিটি আটক করা হয়েছে। চালক পলাতক। বেআইনি ভাবে রাস্তা জবর দখলকারী ইমারতি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে পুরসভা বা পঞ্চায়েত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement