একশো দিনের কাজের প্রকল্পে রাস্তার ধারে বৃক্ষরোপণ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েত প্রধান ও সদস্যদের বিরুদ্ধে।
গোসাবা ব্লকের কচুখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের কচুখালি রামনগর বাজার থেকে উত্তম ঘোষের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার ইটের রাস্তার দু’পাশে বৃক্ষরোপণের কর্মসূচি নেওয়া হয়। এ জন্য প্রায় ১ লক্ষ ২২ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, রাস্তার দু’পাশে যে পরিমাণ গাছ লাগানোর কথা ছিল, তা লাগানো হয়নি। রাস্তার তিন ভাগ এলাকার মধ্যে দু’ভাগ এলাকায় গাছ লাগানো হয়েছে। তা ছাড়া, ওই প্রকল্পে যে গাছ লাগানো হয়েছে তা নিম্নমানের বলেও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। ইতিমধ্যে সেগুলি মারাও গিয়েছে বলেও জানান তাঁরা।
স্থানীয় গ্রামবাসী অধীর রস্তান, স্বপন সর্দার, রাম মণ্ডল ও উত্তম ঘোষরা বলেন, “কোনও রকমে কিছু চারাগাছ লাগিয়ে সরকারি টাকা নয়ছয় করা হয়েছে। এ নিয়ে পঞ্চায়েত প্রধানকে একাধিকবার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি দেখে আমরা বিডিও-সহ সমস্ত আধিকারিককে জানিয়েছি।” চারাগাছ লাগানোর জন্য যে নাইলনের নেট ও বাঁশের খুঁটি লাগানো হয়েছে তা-ও নিম্নমানের বলে অভিযোগ। আরএসপি-র প্রধান পুষ্পরানি মণ্ডল এবং ৬৮-৬৯ নম্বর বুথের পঞ্চায়েত সদস্য আরএসপি-রই ঝুমা মণ্ডলের কথায় দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ।
বাসন্তীর বিধায়ক তথা আরএসপি নেতা সুভাষ নস্কর অবশ্য বলেন, “তৃণমূল সব জায়গাতেই আমাদের দলীয় প্রধানদের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে সরিয়ে দিচ্ছে। এ ক্ষেত্রেও চক্রান্ত করে আমাদের দলীয় প্রধানকে সরানোর চেষ্টা চলছে। বিষয়টি আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি।”
তবে সংশ্লিষ্ট কাজের দায়িত্বে থাকা সুপারভাইজার, তৃণমূলের স্বপন মণ্ডলও এই কাজে সামিল ছিলেন বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। কিন্তু এই অভিযোগ অস্বীকার করে গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর বলেন, “দলীয় পঞ্চায়েত সদস্যের নামে যে অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তা ছাড়া এই কাজগুলি করার দায়িত্ব প্রধানের।” প্রকল্পের কনট্রাক্টর দিবাকর মিস্ত্রি বলেন, “আমি ১৬০০ চারা গাছ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক সরবরাহের দায়িত্ব পেয়েছিলাম। কোথায় কোথায় গাছ লাগানো হবে তার দায়িত্ব আমার ছিল না।”
গোসাবার বিডিও সুমন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে ওই এলাকায় ঠিক কী হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।” চেষ্টা করেও প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
দৌড়তে গিয়ে মৃত জওয়ান। প্রত্যেকদিনের মতো সকালে দৌড়তে গিয়ে কাউন্টার ইন্সারজেন্সি ফোর্সের (সিআইএফ) এক জওয়ানের মৃত্যু হল। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের বিধাননগরের সিআইএফ ব্যারাকে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত জওয়ান সিদ্ধার্থ হালদারের (২৫) বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রোজকার মতোই এ দিন অন্যান্য সিআইএফ জওয়ানদের সঙ্গে সিদ্ধার্থবাবুও স্টিল পার্ক থেকে আড়া যাওয়ার রাস্তায় দৌড়তে যান। দৌড়নোর সময় সিদ্ধার্থবাবু হঠাৎই অসুস্থ হয়ে রাস্তার উপর পড়ে যান। সহকর্মীরা তাঁকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। চিকিৎসকদের প্রাথমিক অনুমান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই জওয়ানের। দেহটি মহকুমা হাসপাতালে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়। সিদ্ধার্থবাবু বছর চারেক আগে সিআইএফ জওয়ান হিসাবে নিযুক্ত হন। বাড়িতে তাঁর বাবা, মা ও ভাই আছেন।