প্রবন্ধ লিখে জাতীয় স্তরে সাফল্য আনল রায়দিঘির দুই কিশোরী

পেট্রোলিয়ামজাত গ্যাস ও তেল সংরক্ষণ বিষয়ে পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রক আয়োজিত জাতীয় স্তরের প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান দখল করে নিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুলের অষ্টম ও ষষ্ঠ শ্রেণির দুই ছাত্রী। ওই মন্ত্রক অধীনস্থ পেট্রোলিয়াম কনজারভেশন রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশনের পূর্বাঞ্চলীয় ডিরেক্টর ও কো অর্ডিনেটর প্রবীরকুমার রায়চৌধুরী বলেন, “প্রত্যন্ত গ্রামের একটি স্কুলের দুই ছাত্রী যে ভাবে এই পুরস্কার জিতে নিল, এক কথায় তা অভাবনীয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়দিঘি শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০১৫ ০১:১১
Share:

প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে সায়ন্তী ও স্নেহা।—নিজস্ব চিত্র।

পেট্রোলিয়ামজাত গ্যাস ও তেল সংরক্ষণ বিষয়ে পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রক আয়োজিত জাতীয় স্তরের প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান দখল করে নিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুলের অষ্টম ও ষষ্ঠ শ্রেণির দুই ছাত্রী। ওই মন্ত্রক অধীনস্থ পেট্রোলিয়াম কনজারভেশন রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশনের পূর্বাঞ্চলীয় ডিরেক্টর ও কো অর্ডিনেটর প্রবীরকুমার রায়চৌধুরী বলেন, “প্রত্যন্ত গ্রামের একটি স্কুলের দুই ছাত্রী যে ভাবে এই পুরস্কার জিতে নিল, এক কথায় তা অভাবনীয়। অতীতে এমন নজির নেই।” স্কুলের প্রধান শিক্ষক চন্দনকুমার মাইতি বলেন, “আমাদের স্কুল সার্বিক ভাবে ও ছাত্রছাত্রীরা পৃথক ভাবে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের নানা পুরস্কার পেয়েছে। এই দুই ছাত্রী স্কুলের সাফল্যের মুকুটে আরও পালক সংযোজন করলো। আমরা গর্বিত।”

Advertisement

প্রবীরবাবু জানান, সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের কাছে এই তেল ও গ্যাস সংরক্ষণ বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য মন্ত্রকের তরফে নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়। সারা দেশে চোদ্দোটি ভাষায় এই প্রতিযোগিতাও তারই একটি অঙ্গ। সম্প্রতি বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্রে এক ঘণ্টায় পাঁচশো শব্দসীমার ওই পরীক্ষা নেওয়া হয়। বাংলা ভাষার সেই পরীক্ষায় স্কুল ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে প্রথম দু’টি স্থানই দখল করেছে তারা। গত ২১ ফেব্রুয়ারি স্কুলে এসে সায়ন্তী ময়রা ও স্নেহা নাটুয়ার হাতে নিজে পুরস্কার তুলে দেন প্রবীরবাবু। প্রথম পুরস্কার হিসাবে সায়ন্তী পেয়েছে গোল্ডেন ট্রফি, ল্যাপটপ, তিরিশ হাজার টাকার চেক ও শংসাপত্র। আর দ্বিতীয় পুরস্কার হিসাবে স্নেহা পেয়েছে সিলভার ট্রফি, কুড়ি হাজার টাকার চেক ও শংসাপত্র। স্কুলে বরাবরই মেধাবী দুই ছাত্রী এই সাফল্যে খুব খুশি। যদিও তারা পুরস্কারের থেকেও বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে তাদের লেখাগুলি সেরা হিসাবে বিবেচিত হওয়াকে।

দু’জনেই কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা। সায়ন্তীর বাবা বলদেব ওষুধ ব্যবসায়ী ও মা মনোরমা গৃহবধূ। আবৃত্তি করা, আঁকার পাশাপাশি লাইব্রেরি থেকে বই নিয়ে পড়তে ভালবাসে ক্লাসে তৃতীয় স্থানাধিকারী সায়ন্তী। সে বলে, “শিক্ষকদের কাছ থেকে লেখার মূল কাঠামোটা জেনে নিয়ে বিভিন্ন বই থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছি। তার সঙ্গে নিজস্ব চিন্তাভাবনা মিশিয়ে পরীক্ষায় লিখেছিলাম।” ষষ্ঠ শ্রেণির স্নেহা ক্লাসে প্রথম হয়। বই পড়া ও গান শেখা তার শখ। বাবা শেখরচন্দ্র সেলসম্যান ও মা স্বপ্না নার্সারি স্কুলে পড়ান। সে-ও একই রকম প্রস্তুতি নিয়েছিল। তার প্রতিক্রিয়া, “বিষয় সম্পর্কে আরও গভীর ধারণা থাকলে ফল ভাল হত। তবে প্রস্তুতি নিতে গিয়ে আমি বুঝেছি। ভবিষ্যতে আমাদের সকলের সুরক্ষার জন্য পেট্রোলিয়ামজাত তেল ও গ্যাসের অপব্যবহার বন্ধ করে তা সংরক্ষণ কতটা জরুরি।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement