প্রতিযোগিতার দু’টি মুহূর্ত। ছবি: শান্তনু হালদার।
বনগাঁ মহকুমা প্রাথমিক ও নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয় এবং শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হল। রবিবার গাইঘাটা হাইস্কুলের মাঠে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের গাইঘাটা চক্রের উদ্যোগে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ওই সংসদের সভাপতি সম্রাট চট্টোপাধ্যায়। প্রতিযোগিতায় প্রায় তিনশো জন যোগ দেয়।
তিনটি বিভাগে বালক-বালিকারা যোগ দেয়। বালক ক বিভাগে, ৭৫ মিটার দৌড়ে প্রথম হয় হাসান মণ্ডল। লংজাম্পে প্রথম হয়েছে আখরাজ মণ্ডল, শাটল দৌড়ে প্রথম রাকেশ দেবনাথ। বালিকা ক বিভাগে ৭৫ মিটার দৌড়ে প্রথম হয়েছে স্নেহা সরকার, লংজাম্পে প্রথম রিমা চৌধুরী। শাটল দৌড়ে তমেনা শেখ প্রথম হয়েছে। বালক খ বিভাগে, একশো মিটার দৌড়ে প্রথম হয়েছে সুজয় দাস। ২০০ মিটার দৌড়ে দেবজিৎ হালদার প্রথম। লংজাম্পে প্রথম হয়েছে কৃষ্ণ দত্ত। হাইজাম্পে প্রথম হয়েছে সঞ্জয় মাঝি, জিমনাস্টিকে প্রথম দেবব্রত সরকার। বালিকা খ বিভাগে, ২০০ মিটার দৌড়ে প্রথম হয়েছে পিপাসা মুণ্ডা ও ১০০ মিটার দৌড়ে প্রথম রুবিনা মণ্ডল। হাইজাম্পে প্রথম শর্মিলা হাজরা, লংজাম্পে প্রথম হয়েছে শিল্পা মণ্ডল। জিমনাস্টিকে প্রথম গীতা মণ্ডল। বালক গ বিভাগে, ২০০ মিটার ও ১০০ মিটার দৌড়ে প্রথম হয়েছে পুরন্দরপুর এফপি স্কুলের ইনতাজুল বিশ্বাস। হাইজাম্পে প্রথম রাজীব বিশ্বাস। লংজাম্পে প্রথম হয়েছে বিশ্বজিৎ দাস। জিমনাস্টিকে প্রথম সঞ্জিত বাইন, হাঁড়ি ভাঙা প্রতিযোগিতায় প্রথম আকাশ মণ্ডল। বালিকা গ বিভাগে ১০০ মিটার দৌড়ে প্রথম হয়েছে শিউলি সাঁতরা, ২০০ মিটার দৌড়ে প্রথম নাজমা তরফদার। হাইজাম্প ও লংজাম্পে প্রথম হয়েছে কবিতা মণ্ডল ও শম্পা মণ্ডল। জিমন্যাস্টিকে প্রথম হয়েছে সোহিনী বাছাড়। হাঁড়ি ভাঙায় প্রথম লাবণী বিশ্বাস। উদ্যোক্তাদের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ইভেন্টে যারা প্রথম ও দ্বিতীয় হয়েছে তারা ১৩-১৪ ডিসেম্বর মধ্যমগ্রামে জেলা প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়ার সুযোগ পাবে।