গোবরডাঙায় দুষ্কৃতী তাণ্ডব, জখম ৮

শনিবার রাত সাড়ে ৮টা। বনগাঁ-শিয়ালদহগামী ট্রেন থেকে গোবরডাঙা স্টেশনে দুষ্কৃতীরা আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে নামে। স্টেশন থেকে বাইরে বেরিয়েই হঠাৎই একটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এরপরই ওই গাড়ির চালককে মারধর করে তারা। সেখান থেকে দুষ্কৃতীরা চলে যায় স্টেশনের অন্য পাড়ে। সেখানে একটি বিয়ে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন এক যুবক। সেই যুবককেও তারা মারধর করে। এরপরে স্টেশন-সংলগ্ন এলাকায় প্রত্যেক পথচারীকেই তারা মারধর করে বলে অভিযোগ। এমনকী, আগ্নেয়াস্ত্র মাথায় ঠেকিয়ে পথচারীদের থেকে লুঠপাট চালায় বলেও অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গোবরডাঙা  শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০০:৩৫
Share:

শনিবার রাত সাড়ে ৮টা। বনগাঁ-শিয়ালদহগামী ট্রেন থেকে গোবরডাঙা স্টেশনে দুষ্কৃতীরা আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে নামে। স্টেশন থেকে বাইরে বেরিয়েই হঠাৎই একটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এরপরই ওই গাড়ির চালককে মারধর করে তারা। সেখান থেকে দুষ্কৃতীরা চলে যায় স্টেশনের অন্য পাড়ে।

Advertisement

সেখানে একটি বিয়ে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন এক যুবক। সেই যুবককেও তারা মারধর করে। এরপরে স্টেশন-সংলগ্ন এলাকায় প্রত্যেক পথচারীকেই তারা মারধর করে বলে অভিযোগ। এমনকী, আগ্নেয়াস্ত্র মাথায় ঠেকিয়ে পথচারীদের থেকে লুঠপাট চালায় বলেও অভিযোগ।

রাস্তার পাশেই সস্ত্রীক দাঁড়িয়ে ছিলেন জয়দেব দাস নামে এক ব্যক্তি। তাঁর কথায়, “আমাকে দুষ্কৃতীরা এসে বলে, তোর কাছে যা আছে দিয়ে দে। কিছু নেই জানাতেই ওরা আমার মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে আঘাত করে।” এক ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে ওই দুষ্কৃতীরা গুলিও চালায় বলে অভিযোগ। এরপরেই তারা সেখান থেকে পালায়। আশেপাশের দোকান বন্ধ করে দেয় দোকানীরা। লোকজন সব ছোটাছুটি করতে শুরু করে। ভয়ে তটস্থ হয়ে যায় স্থানীয় বাসিন্দারা। নিমেষে বদলে যায় এলাকার পরিস্থিতি।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, এই ঘটনায় জখম হন আট জন। দুষ্কৃতীরা সংখ্যায় দু’জন ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। যদিও প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, দুষ্কৃতীরা ছিল চার জন ছিল। হঠাৎ দুষ্কৃতীদের উপদ্রবে আতঙ্কিত এলাকাবাসী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন জেলা পুলিশের ডিএসপি (হেড-কোয়ার্টার) দুর্বার বন্দ্যোপাধ্যায়। সারা রাত হাবরা থানার আইসি মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায় দশটি মোটরবাইকে স্থানীয় কয়েক জন যুবককে নিয়ে ওই দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চালান।

কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, দুষ্কৃতীদের মধ্যে এক জন গোবরডাঙা এলাকায় বাস করত। কয়েক বছর আগে স্থানীয় মানুষ তাকে মারধর করে এলাকাছাড়া করেন। ওই আক্রোশে এ দিন সে এসে হামলা চালাতে পারে।

গোবরডাঙার পুরপ্রধান সুভাষ দত্ত বলেন, “এখানে দুষ্কৃতীদের তেমন তাণ্ডব নেই। এই ঘটনা কারা কি উদ্দেশ্যে ঘটাল, তা বোঝা যাচ্ছে না। পুলিশকে অনুরোধ করেছি, ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে।” জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, “কী কারণে ওই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুষ্কৃতীদের পরিচয় জানা গিয়েছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement