চাল, ডাল সরবরাহ না থাকায় প্রায় ক্যানিং-১ ব্লকের অধিকাংশ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি বন্ধ হতে চলেছে। এই এলাকায় ৪৬০টি অঙ্গনওয়াড়ির মধ্যে প্রায় ৯০-১০০টি কেন্দ্রে খাওয়ার না থাকায় ২ দিন ধরে বন্ধ বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
বাকিগুলিতেও যদি ঠিকভাবে খাদ্য সরবরাহ না হয় তাহলে ওই কেন্দ্রগুলিও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। নিকারিঘাটা, হাটপুকুরিয়া, মাতলা-২ পঞ্চায়েত এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের অভিযোগ কেন্দ্রে বাচ্চাদের খাওয়ার দিতে না পারায় তাদের অভিভাবকরা অসন্তোষ প্রকাশ করে। অনেক সময় এই কারণে ঝামেলাও বাধছে। হাটপুকুরিয়া গ্রামের এক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী বলেন, “অফিস থেকে চাল, ডাল না আসায় বাচ্চাদের মিড-ডে-মিল রান্না করে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু বাচ্চাদের মা-বাবারা সেই কথা বুঝতে চাইছেন না। তাই তারা এখানে এসে খাওয়ার চেয়ে ঝামেলা করছেন। বাধ্য হয়ে কেন্দ্র বন্ধ রাখতে হয়েছে।” মাতলা-২ গ্রামের এক অভিভাবক রেখা সর্দার বলেন, “অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে বাচ্চাদের খাওয়ার দেওয়ার কথা। কিন্তু অনেকদিন ধরেই বাচ্চারা খাওয়ার পাচ্ছে না। এখানকার কর্মীদের কাছে অভিযোগ জানালে এরা বলে সরাসরি অফিসে যোগাযোগ করতে।” কিন্তু এভাবে কতদিন চলবে। এ প্রসঙ্গে ক্যানিং-১ ব্লকের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র গুলিতে চাল, ডাল সরবরাহ করেন কুমার চৌধুরি নামে এক ঠিকাদার। তিনি বলেন, “জিনিসপত্রের দামের সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রগুলিতে চাল, ডাল সরবরাহ করার খরচও বেড়েছে। কিন্তু সরকারি রেট বাড়ানো হচ্ছে না। নতুন কোনও টেন্ডারও হয়নি। আমাকে পুরনো রেটেই খাদ্য সরবরাহ করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। যেটা আমার পক্ষে আর সম্ভব হচ্ছে না”।
মহকুমাশাসক প্রদীপ আচার্য বলেন, ‘‘লোকসভা ভোটের কারণে নতুন টেন্ডার করা যায়নি। ফলে একটা সমস্যা হয়েছে। গত সপ্তাহে নতুন টেন্ডার করে তা জেলাতে পাঠানো হয়েছে অনুমোদনের জন্য। আশা করছি কয়েক দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।”