উল্টো দিক থেকে আসছিল বিডিওর গাড়ি। কিন্তু একটি অটো সামনে পড়ে যাওয়ায় বেশ কিছু ক্ষণ যানজটে আটকে পড়েন তিনি। এর জেরে রেগে গিয়ে অটোর কাচ ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বাসন্তী বিডিও কওসর আলির বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে সোনাখালি বাজারের কাছে। এর প্রতিবাদে অটো চালকেরা এ দিন বাসন্তীর সোনাখালিতে বিডিও অফিসের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। প্রায় ঘণ্টা খানেক তাঁদের বিক্ষোভ চলে। বিডিও অবস্য সে সময়ে অফিসে ছিলেন না।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে সোনাখালি বাজারের কাছে রাস্তার কাজ হচ্ছিল। সে কারণে সমস্ত গাড়িকে রাস্তার একধার দিয়ে যেতে হচ্ছিল। অভিযোগ, একটি অটো ওই লাইন ভেঙে বেরিয়ে গাড়িগুলিকে অতিক্রম করে এগিয়ে আসে। এমন সময়ে উল্টো দিক থেকে বিডিওর গাড়িও রাস্তায় ঢুকে পড়ে। শুধুমাত্র ওই অটোটির জন্য রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হয়। বিডিও গাড়ি থেকে নেমে আসেন। অটোটি আইন ভেঙেছে বলে তিনি বাসন্তী থানার এক কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ারের হাত থেকে লাঠি নিয়ে অটোর কাচে মেরে ভেঙে দেন বলে অভিযোগ।
রিপন শিকদার নামে চালকের অটোর কাচ ভেঙেছে। তিনি বলেন, “রাস্তার কাজ হচ্ছিল ঠিকই, কিন্তু সিভিক ভলান্টিয়ারের অনুমতি নিয়েই আমি এগিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু বিডিও কোনও কথা না শুনেই লাঠি দিয়ে মেরে আমার গাড়ির কাচ ভেঙে দিলেন।” কোনও অটো যদি আইন অমান্য করে, তা হলে তার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু এ ভাবে বিডিও-র কাচ ভাঙা মানা যায় না বলে জানায় অন্য অটো চালকেরা। পুলিশ জানিয়েছে, অটো চালকের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হবে। বিডিও অবশ্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। ক্যানিংয়ের মহকুমাশাসক প্রদীপ আচার্য বলেন, “এমন একটি ঘটনার কথা শুনেছি। আমি বিডিওকে এ ব্যাপারে বলেছি, অটো চালকদের সঙ্গে বসে সমস্যাটি মিটিয়ে নিতে।”