সুরজ রাও।
তৃণমূলের বিজয় উৎসবের মাঝখানে মোটর বাইক নিয়ে হাজির হল কিছু যুবক। বিপদ বুঝে এ দিক ও দিক ছিটকে পড়েছিল কয়েকজন। ঢুকে পড়েছিল আশপাশের কয়েকটি বাড়িতে। সেখান থেকেই কয়েকজনকে টেনে বের করল ১০-১২ জনের দলটি। রড-লাঠিসোঁটা নিয়ে শুরু হল মারধর। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা গিয়েছেন একজন।
পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে ওই ঘটনায় নিহত যুবকের নাম সুরজ রাও (৩২)। নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যান তিনি। আহত আরও ৮ জন হাসপাতালে ভর্তি। সুরজ বেশিরভাগ সময় ওড়িশায় থাকতেন। দিন কয়েক আগে ফিরেছিলেন ভাটপাড়ায়।
ভাটপাড়ার আমবাগান এলাকার এই ঘটনার সঙ্গে অবশ্য রাজনীতির কোনও যোগ নেই বলে প্রাথমিক তদন্তের পরে জানিয়েছে পুলিশ। ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার নীরজকুমার সিংহ বলেন, ‘‘রেলের কোয়ার্টার দখল নিয়ে গণ্ডগোল। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’ পুলিশ দেহ ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে। এলাকায় পুলিশ পিকেট বসেছে।
ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই বলে দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বেরও। ভাটপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক অর্জুন সিংহ বলেন, ‘‘বাবুসোনা নামে এক সমাজবিরোধী দীর্ঘদিন এলাকাছাড়া ছিল। সুরজের সঙ্গে তার পুরনো শত্রুতা থাকতে পারে।’’ বিধায়কের দাবি, বাবুসোনাই বিষ্ণু নামে আর এক সমাজবিরোধী ও তার দলবল নিয়ে গিয়ে মারধর করে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, যারা মারছিল, আর যারা মার খাচ্ছিল— সকলেই পরিচিত। প্রথমে অনেকে মনে করেছিলেন, হেরে গিয়ে বিরোধীরা বুঝি হামলা চালাল। কিন্তু মারধরের সময়ে টাকাপয়সা এবং ঘর দখল নিয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন অনেকে।
পুলিশ জানিয়েছে, কাঁকিনাড়া, জগদ্দলে ফাঁকা ও পরিত্যক্ত রেল কোয়ার্টারগুলি দখল করে অসামাজিক কার্যকলাপ চালায় দুষ্কৃতীরা। তাই নিয়ে নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোলের জেরেই হামলার ঘটনা ঘটেছে।