প্রতীকী ছবি।
গুলিবিদ্ধ হলেন কাঁকিনাড়ার এক যুব তৃণমূল নেতা। বুধবার সকালে কাঁকিনাড়ার আর্যসমাজ মোড়ের ঘটনা। জখম যুবকের নাম ধর্মেন্দ্র সিংহ। কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। এই ঘটনার পরে ভাটপাড়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। তৃণমূলের অভিযোগ, ঘটনার পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে। বিজেপির দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা। ভাটপাড়া থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধর্মেন্দ্র কাঁকিনাড়া আর্যসমাজ মোড়ের একটি প্লাস্টিক কারখানার কর্মী। এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ তিনি কারখানায় যাচ্ছিলেন। কারখানার বাইরে যখন তিনি দাঁড়িয়ে, সে সময়ে তাঁকে লক্ষ্য করে কেউ গুলি চালিয়ে দেয়। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পালানোর চেষ্টা করেন ধর্মেন্দ্র। তাঁকে লক্ষ্য করে পর পর আরও কয়েকটি গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। তারই একটি ধর্মেন্দ্রর কাঁধ ফুঁড়ে বেরিয়ে যায়।
চিৎকারে ছুটে আসেন অনেকে। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান তৃণমূল নেতৃত্ব। সন্ধ্যায় অস্ত্রোপচার করে গুলি বের করা হয়। ঘটনার পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় যায়। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি (সাউথ) অজয় ঠাকুর বলেন, “আমরা ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছি। জখম ব্যক্তির সঙ্গে কোনও কথা বলা যায়নি। শীঘ্রই সব তথ্য জানা যাবে।”
এক সময় ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহের ঘনিষ্ঠ ছিলেন ধর্মেন্দ্র। অর্জুনের সঙ্গে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন তিনিও। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই তৃণমূলে ফেরেন। ভাটপাড়ার তৃণমূল নেতা সোমনাথ শ্যাম বলেন, “ধর্মেন্দ্র আমাদের জানিয়েছেন, দুষ্কৃতীরা তিন-চারজন ছিল। কেউই ওর চেনা মুখ নয়।” সোমনাথের কথায়, “বিজেপি ছাড়ার পর থেকেই ওই দলের লোকেরা ধর্মেন্দ্রকে একাধিকবার শাসিয়েছে। উনি দক্ষ সংগঠক। সঙ্গে এলাকার যুবকেরা রয়েছেন। এতে বিজেপির অসুবিধা হচ্ছিল। সেই জন্যই ওঁকে খুনের চেষ্টা করেছে বিজেপি।”
অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন অর্জুন। তিনি বলেন, “ধর্মেন্দ্রর নামে দু’টো খুনের অভিযোগ রয়েছে। তৃণমূলে ওকে নিয়ে জোর গোলমাল ছিল। সেই দ্বন্দ্বের জেরেই গুলি খেয়েছে। তৃণমূল এখন সবেতেই বিজেপির ভূত দেখছে।”