এখান থেকেই উদ্ধার হয় যুবতীর দেহ। ছবি: দিলীপ নস্কর
পিকনিক স্পটের পাশে পরিত্যক্ত ভবন। বুধবার দুপুরে সেখান থেকেই মিলল অজ্ঞাতপরিচয় এক তরুণীর দেহ। রামনগরের রায়চক পিকনিক স্পটের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
এ দিন বেলা দেড়টা নাগাদ হুগলি নদীর ধারে রায়চক পিকনিক স্পটে ভিড় জমেছিল। পিকনিক দলের এক সদস্যেরই চোখে পড়ে, ভাঙাচোরা ওই ঘরে সাদা ওড়নার ফাঁস গলায় জড়ানো তরুণীর দেহ পড়ে রয়েছে। পর্যটকেরা ভিড় জমান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে।
রায়চক মোড়ের কাছে হুগলি নদী-লাগোয়া বাঁধের পাশে পোর্ট ট্রাস্টের বিঘা পঞ্চাশ ফাঁকা জমি পড়ে। কিছু অংশে মৎস্য দফতরের কয়েকটি ভবন হয়েছে। ওই ভবনে চিংড়ি মাছের মাথা ছাড়িয়ে রফতানি হত। বছর দশেক আগে সে সব বন্ধ। ভবনগুলি পরিত্যক্ত অবস্থা পড়ে। দুষ্কৃতীরা ঘরের জানলা-দরজা, ইটও খুলে নিয়ে গিয়েছে। লোকালয় থেকে বেশ খানিকটা দূরে ওই ভবনে সন্ধের পরে কেউ পা মাড়ান না। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, মদ-গাঁজা-জুয়ার ঠেক বসে ভুতুড়ে ওই সব জায়গায়। দুষ্কৃতীদের আড্ডাখানা হয়ে উঠেছে এলাকা।
এমনই একটি ঘর থেকে এ দিন বছর ছাব্বিশের ওই তরুণীর দেহ মেলে। বাসিন্দাদের দাবি, হয় পরিত্যক্ত বাড়িগুলি ভেঙে ফেলা হোক। অথবা পুলিশ নিয়মিত নজরদারি চালাক। না হলে এমন ঘটনা আবার ঘটতে পারে। স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গির মোল্লা, সিরাজ শেখদের অভিযোগ, বাইরে থেকে কোনও মহিলাকে তুলে এনে যা খুশি করা যায় এখানে। তেমনই কিছু ঘটে থাকতে পারে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মেয়েটিকে বাইরে থেকেই আনা হয়েছিল। শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। খুনের মামলা রুজু করে দেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। তবে যৌন অত্যাচার করা হয়েছিল কিনা, তা ময়না-তদন্তের রিপোর্ট এলে বোঝা যাবে। মহিলার পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।