রাতে মাটি খুঁড়ে জল প্রকল্পের কাজ করতে গিয়ে বিক্ষিপ্ত ভাবে কেটে ফেলা হয়েছে বিএসএনএলের প্রায় ৮০ শতাংশ তার। তার জেরে গত রবিবার থেকে ডায়মন্ড হারবারে টেলিফোন এবং ইন্টারনেট ব্রডব্যান্ড পরিষেবা মার খাচ্ছে। সমস্যার আশু সমাধানেরও সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। কেননা, কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, নতুন করে মাটি খুঁড়ে কাজ করতে সময় লাগবে। তার উপরে মঙ্গল ও বুধবার টেলিকম কর্মী এবং অফিসারদের একটি অংশের ধর্মঘট।
বিএসএনএলের মহকুমা (ডায়মন্ড হারবার) ইঞ্জিনিয়ার মনোজকুমার মণ্ডল বলেন, ‘‘আগে থেকে জানা থাকলে এটা আটকানো যেত। রবিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। একই সঙ্গে পুরসভা, মহকুমা প্রশাসনের কাছেও বিষয়টি জানিয়েছি। প্রায় ১০ লক্ষ টাকার তার কেটে ফেলা হয়েছে। জুড়তে একটু সময় লাগবে।’’
প্রশাসন সূত্রের খবর, সব মিলিয়ে প্রায় ৭০০ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। গার্লস স্কুল রোড এবং হাইস্কুল পাড়া ছাড়াও ডায়মন্ড হারবারে নতুন পোল থেকে লালপোলের মুখ পর্যন্ত এলাকায় এ ভাবে মাটি খোঁড়ায় পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। মহকুমা সদরের সমস্ত সরকারি দফতরে বিএসএনএল পরিষেবা রয়েছে। ডাকঘর, ব্যাঙ্ক, কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারি অফিসগুলিতে এর প্রভাব পড়ছে। তবে রেলের বিএসএনএলের লাইন ছাড়াও নিজস্ব বিকল্প লাইন রয়েছে বলে তা দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে।
তবে এতবড় কাজ করার আগে কেন পুরসভা সাবধান হল না? বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ সমস্ত টেলিফোন, ইন্টারনেট লাইন যে রাস্তা দিয়ে গিয়েছে, সেখানে মাটি খুঁড়ে কাজ করার আগে কেন বিএসএনএল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হল না?
ডায়মন্ড হারবার পুরসভার পুরপ্রধান মীরা হালদার বলেন, ‘‘জল প্রকল্পের এই কাজ সাধারণ মানুষের জন্য। মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট (এমইডি) এর সঙ্গে যৌথ ভাবে আমরা করছি। কিন্তু সব সময় তো নজর রাখা যায় না। এমইডি’র ইঞ্জিনিয়ারেরা কাজ করছেন। নজর এড়িয়ে হয়ে থাকতে পারে। আমরা বিএসএনএলের চিঠি এমইডি কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি।’’
যাতে নতুন করে এমন বিপত্তি না হয়, সে জন্য পুর কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের চিঠি দিয়ে দিয়েছে বিএসএনএল। এমইডির সঙ্গে যৌথ ভাবে কাজ করলেও এই দায় পুরসভার উপরেও এসে পড়ছে। বিএসএনএলের ইঞ্জিনিয়ারেরা দাবি করছেন, পুরসভা সাবধানে কাজ করলে এই সমস্যা হত না।
এর আগেও ডায়মন্ড হারবার-কাকদ্বীপ রোডে কুলপির মোবাইল টাওয়ার একই ভাবে বসে গিয়ে মোবাইল পরিষেবা কাজ ব্যাহত হয়েছিল। যদিও সেই সমস্যা ইতিমধ্যেই কাটিয়ে উঠেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
মহিলার দেহ উদ্ধার। নিজের বাড়ি থেকে অর্ধনগ্ন মহিলার দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে ভাটপাড়ার বিন্দুবাসিনী রোডে। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম সীমা ভট্টাচার্য (৩৫)। তাঁর দেহের বিভিন্ন জায়গা থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। মাথায় গুরুতর আঘাতের চিহ্নও রয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার স্বামী কলকাতার এক হোটেলে কর্মরত। এ দিন তাঁর ছেলেমেয়েরা স্কুল থেকে ফিরে মৃতদেহ দেখতে পায়। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করতে গেলে বাসিন্দারা বাধা দেন। তাঁদের দাবি মতো ওই মহিলার বাড়িতে পুলিশ কুকুর নিয়ে যায় পুলিশ। ধর্ষণ করে খুন কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দেহটি ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে।