মুদির দোকানের আড়ালে রমরমিয়ে মদের কারবার। — নিজস্ব চিত্র।
বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই। গ্রামগঞ্জের আর পাঁচটা মুদির দোকানের সঙ্গে ফারাক নেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের পিয়ালি স্টেশন সংলগ্ন বৌদির দোকানের। সেই আটপৌরে দোকান থেকেই লক্ষাধিক টাকার বিদেশি মদ উদ্ধার করল পুলিশ। দোকানের মালকিন সুপর্ণা ঘোষকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। সুপর্ণাই এলাকায় বৌদি নামে পরিচিত ছিলেন।
গোপন সূত্রে বারুইপুর থানার পুলিশ খবর পায়, পিয়ালি স্টেশনের কাছে বৌদির দোকান থেকে মদ বিক্রি চলছে রমরমিয়ে। তার পরেই বারুইপুর থানা থেকে পুলিশের একটি দল অভিযানে নামে। বারুইপুর থানার পিসি অফিসার রনি সরকারের নেতৃত্বে একটি দল মঙ্গলবার সন্ধায় হানা দেয় পিয়ালি স্টেশন সংলগ্ন ওই মুদি দোকানে। সেখান থেকে উদ্ধার করে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ। যার বাজারমূল্য লক্ষাধিক টাকা। পুলিশ সুত্রের খবর, বেশ কয়েক দিন ধরেই পিয়ালি থেকে অভিযোগ আসছিল, এলাকায় বেআইনি ভাবে বিদেশি মদ বিক্রি হচ্ছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে ওই গৃহবধূকে। ধৃতের নাম সুপর্ণা ঘোষ। পিয়ালি থানা এলাকাতেই বাড়ি সুপর্ণার।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, আগামী দোল ও হোলিতে বিক্রির জন্য এই বিপুল পরিমাণ বিলাতি বিদেশি মদ মজুত করা হয়েছিল ওই মুদির দোকানে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় এ ভাবেই মুদি বা মিষ্টির দোকানের আড়ালে ‘ব্ল্যাকে’ মদ বিক্রির কারবার চলছে দীর্ঘ দিন ধরে। ভুক্তভোগী স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিশ সব জেনেও চোখ বুজে থাকে। তাই পিয়ালির ঘটনায় পুলিশের ‘সক্রিয়তা’ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।