কী করতেন যদি হতেন পুরপ্রধান?

বাদুড়িয়াবাদুড়িয়া

Advertisement
শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৫ ০২:১৭
Share:

Advertisement

অল্প বৃষ্টিতেই বিভিন্ন এলাকায় জল জমে যায়। পুরপ্রধান হলে আগে িনকাশি ব্যবস্থা সংস্কারের দিকে নজর দিতাম। জলা জায়গা বুজিয়ে নির্মাণ হচ্ছে নানা জায়গায়। সে সব বন্ধ করতাম। বহু দরিদ্র মানুষের ঘরে এখনও আলো পৌঁছয়নি। সে দিকেও যা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, সে সব পদক্ষেপ করতাম। পুর এলাকার মধ্যে বহু পঞ্চায়েত এলাকা ঢুকে পড়েছে। ফলে পুরসভার চেহারা বিশাল এলাকা নিয়ে ছড়ানো। একাধিক কমিউনিটি হল তৈরির দরকার আছে। সে দিকেও নজর দিতাম। সব থেকে বড় কথা, পুরসভার ওয়ার্ড বাড়িয়ে পঞ্চায়েত এলাকাকেও তার অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা করতাম। পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দিতাম বাড়ি বাড়ি।

দীপককুমার রায় (প্রধান শিক্ষক, বাদুড়িয়া এলএমএস হাইস্কুল) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা

Advertisement

আর্সেনিক এখানকার একটি বড় সমস্যা। পুরসভার ১১, ১২, ১৩, ১৪, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের জলে আর্সেনিক আছে। ৬, ৭, ৮, ৯, ১০, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থা ভয়াবহ। এই সমস্যা দূর করার জন্য পদক্ষেপ জরুরি, তা করব। পুরসভার কাজকর্মে স্বচ্ছতা আনার জন্য টাকা-পয়সার হিসাব ওয়ার্ড কমিটির কাছে পেশ করার নিয়ম চালু করব। কোন খাতে কত টাকা আসছে, তা কোথায় কী ভাবে খরচ করা হচ্ছে সেই সব তথ্য যাতে সকলে জানতে পারেন, সে দিকে নজর দেব। বাদুড়িয়ার বহু মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাস করেন। তাঁদের সকলের বাড়িতে এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া যায়নি। সেই কাজও করব অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে।

সুভাষ চৌধুরী (পুরসভার বাস্তুকার, ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা)

বিপিএল তালিকা তৈরি হয়েছে স্রেফ মুখ দেখে। স্বচ্ছতার অভাব আছে। সেই কাজ বন্ধ করা হবে আমার প্রথম দায়িত্ব। পুরসভার নানা প্রকল্প গড়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করব। এলাকার শিক্ষিত ছেলেমেয়েদের চাকরি-বাকরির জন্য শহরে ছুটতে হয়। সেটা বন্ধ করা খুবই দরকার। চিকিৎসক হিসাবে মনে করি, এই এলাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবা খুবই খারাপ। গ্রামীণ হাসপাতাল একমাত্র ভরসা। সামান্য বড় কিছু হলেই বসিরহাট জেলা হাসপাতালে বা বারাসতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এই প্রবণতা বন্ধ করতে হলে এলাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতি ঘটানো দরকার। সে দিকে নজর দেব।

রাজা মুখোপাধ্যায় (হোমিওপ্যাথ চিকিৎসক। ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা)

পুরসভা হলেও এখনও বেশির ভাগ অংশই গ্রামীণ এলাকার চেহারায় পড়ে আছে। এত বড় একটা জায়গায় একটা ডিগ্রি কলেজ পর্যন্ত নেই। ছেলেমেয়েদের উচ্চশিক্ষার জন্য স্বরূপনগর, বসিরহাট বা বারাসতে যেতে হয়। এলাকায় কলেজ তৈরির দিকে নজর দেব। খেলাধূলার চল থাকলেও এখানে কোনও স্টেডিয়াম নেই। সেটা তৈরির ব্যাপারেও সচেষ্ট হব। পরিস্রুত পানীয় জল না থাকায় অনেকে জল কিনে খেতে বাধ্য হন। ইছামতীর জল পরিস্রুত করে পানীয় হিসাবে ব্যবহারের ব্যবস্থা করব। এ ছাড়াও ট্রেন লাইন না থাকায় বাসিন্দারা সমস্যায় পড়েন। ট্রেন লাইন চালু করতে চেষ্টা করব। এলাকায় ব শিল্প গে ওঠেনি। সে দিকেও লক্ষ্য থাকবে।

পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায় (ব্যবসায়ী। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা)

বাড়ি বাড়ি শৌচাগার হল না এখনও এ অত্যন্ত লজ্জার। আমি ক্ষমতায় এলে আগে এই ব্যবস্থা করব। আরও একটা বিষয়ে নজর দেব। তা হল, বাদুড়িয়ায় বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ মিলেমিশে থাকেন। তাঁদের মধ্যে সম্প্রীতির বাতাবরণ যাতে আরও ভাল ভাবে ধরে রাখা যায়, তা দেখা হবে আমার কাজ। এ ছাড়া, বাড়ি বাড়ি পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছয়নি এখনও। আর্সেনিকমুক্ত জলের অভাব আছে এলাকায়। আমি ক্ষমতায় এলে সে দিকে অবশ্যই নজর দেব। এলাকায় কর্মসংস্থান তৈরি করতে গেলে কী ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, তার সঠিক পরিকল্পনা তৈরি করার প্রয়োজন আছে। সে দিকে নজর দেব।

আবদুস সামাদ বিশ্বাস

(ব্যবসায়ী, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা)

এই এলাকায় বহু মানুষ অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে। তাদের কর্মসংস্থান খুবই জরুরি। নদীর ধারে বাস করেন তাঁরা, উন্নয়নের স্বাদ পান খুবই কম। প্রতি বছর বানভাসি হতে হয় অনেককেই। আমি যদি ক্ষমতায় আসি, তা হলে শহরের নিকাশি ব্যবস্থার হাল ফিরিয়ে এই সব মানুষের জন্য কিছুটা হলেও সুস্থ জীবনযাপনের ব্যবস্থা করে দেব। বাড়ি বাড়ি শৌচালয় তৈরির ক্ষেত্রে গাফিলতি থেকেই গিয়েছে। আমি ক্ষমতায় এলে সে ব্যাপারে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ করব। সব থেকে বড় কথা, পুরসভা ও পঞ্চায়েতের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব মেটাতে ওয়ার্ডের সংখ্যা বািড়য়ে পুরো এলাকাটাই পুরসভার অন্তর্গত করার ব্যবস্থা করব। এটা খুবই জরুরি পদক্ষেপ হবে।

পরিতোষ ঘোষ (প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement