West Bengal Lockdown

চলছে রক্ত সঙ্কট, ভোগান্তি

থ্যালাসেমিয়া রোগীর পরিবারের লোকজন জানান, লকডাউনের কারণে যানবাহন বন্ধ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২০ ০৬:৫৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

রক্তের সঙ্কটের কারণে সমস্যায় পড়ছেন থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা। গরম পড়তে এমনিতেই বিভিন্ন ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। তার মধ্যে লকডাউন চলায় রক্ত মিলছে না বলে জানালেন থ্যালাসেমিয়া রোগীর পরিবারেরা। এই সময়ে রক্তের চাহিদা মেটাতে অনেক জায়গায় বিভিন্ন ক্লাব, সংগঠন রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে। কিন্তু এখন তা-ও বন্ধ।

Advertisement

থ্যালাসেমিয়া রোগীর পরিবারের লোকজন জানান, লকডাউনের কারণে যানবাহন বন্ধ। তার উপরে হাসপাতালে রক্ত দেওয়ার নির্দিষ্ট দিনে হাসপাতালে গেলেও, বলা হচ্ছে রক্ত নেই। ডোনার নিয়ে আসতে হবে। করোনাভাইরাসের আতঙ্কে এই সময়ে বাইরে থেকে রক্তদাতা পাওয়া যাচ্ছে না। যদিও বা দাতা পাওয়া যায়, তা হলে দেখা যাচ্ছে অনেক ক্ষেত্রে তাঁর সঙ্গে থ্যালাসেমিয়া রোগীর রক্তের গ্রুপ মিলছে না। অনেকে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য কোনও গাড়িও পাচ্ছেন না। এমন পরিস্থিতিতে রোগীর পরিবার কী করবেন, তা বুঝতে পারছেন না। গত কয়েক দিন ধরে ভাঙড় ২ ব্লকের খালপাড় গ্রামের বাসিন্দা শাকিলা বিবি তার ছোট ছেলে রমজান শেখকে নিয়ে কলকাতার মানিকতলা ব্লাড ব্যাঙ্কে গিয়েছিলেন। রক্ত না পেয়ে ফিরে আসেন। তাঁকে বলা হয়, দাতা জোগাড় করে নিয়ে আসতে। পরে তিনি এক নিকট আত্মীয়কে নিয়ে গিয়ে রক্ত দিয়ে আসেন। শুধু ভাঙড়ের শাকিলা বিবি নয় সমস্যায় পড়ছেন এমন অনেকেই। ইতিমধ্যে ভাঙড় ২ ব্লক এলাকার বেশ কয়েকজন থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীর পরিবার প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে তাঁদের দ্বারস্থ হয়েছেন। ভাঙড় ২ বিডিও কৌশিককুমার মাইতি বলেন, “এই সময়ে বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীরা সমস্যায় পড়েছেন। আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই সব রোগীদের জন্য রক্তদাতার ব্যবস্থা করে গাড়ি করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করছি। সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলে সব রকম ব্যবস্থা করে তাঁদের পাঠানো হচ্ছে।”

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement