বাসন্তীর জনসভায় বাঁ দিক থেকে সুজন চক্রবর্তী, আবদুল মান্নান ও বিমান বসু।
ভোটের আগে আব্বাস সিদ্দিকির ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের সঙ্গে বোঝাপড়ার চেষ্টা হচ্ছে। শুক্রবার কাকদ্বীপে দাবি করলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। একই সুরে আব্বাসের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নানও।
২৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছে বামফ্রন্ট। তার সমর্থনে শুক্রবার কাকদ্বীপের বাসন্তী ময়দানে জনসভা করে বাম এবং কংগ্রেস। সেই সভায় বিমান বলেন, ‘‘তৃণমূল এবং বিজেপি বিরোধী সমস্ত শক্তির সঙ্গে এক জোট হয়ে একই নির্বাচনী কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলার নির্বাচনী ময়দানে নামতে চাই। এখানে লুকোচুরির কোনও ব্যাপার নেই। জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে আমাদের বোঝাপড়া অনেক দূর অগ্রসর হয়েছে। ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের সঙ্গেও আমরা বোঝাপড়ায় আসতে চাই। রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেসকে হঠিয়ে, বিজেপিকে অনেক দূরে সরিয়ে বাংলার বুকে ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক সরকার গড়ে তুলতে হবে।’’
একই সুর শোনা গিয়েছে মান্নানের গলাতেও। তিনি বলেন, ‘‘জোট নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের সঙ্গেও আলোচনা শুরু হয়েছে। দিন কয়েকের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।’’
তিনি বলেন, ‘‘আজ প্রতিশ্রুতির বন্যা বয়ে গিয়েছে। কল্পতরু! ১০ বছর ধরে উনি যে উল্টোকাজ করেছেন, তিন মাসের মধ্যে উনি না কি সব করে দেবেন।’’ বাজেট নিয়ে রাজ্য সরকারকে তোপ দেগেছেন মান্নানও।
বাম এবং কংগ্রেসকে পাল্টা বিঁধে কাকদ্বীপের তৃণমূল বিধায়ক তথা সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা বলেন, ‘‘৩৪ বছর বাংলাকে ছারখার করেও এদের সাধ মেটেনি। মুখে আদর্শের বড় বড় বুলি আর কংগ্রেস, আব্বাস সিদ্দিকী সকলের হাত ধরে বসে আছে সিপিএম। ওঁদের অত্যাচারের জেরেই মানুষ লক্ষ যোজন দূরে সরিয়ে দিয়েছে। এ বারের ভোটের পরও ওঁদের দূরবিন দিয়ে খুঁজতে হবে।’’