LPG Gas

বাড়িতে আসা সিলিন্ডারে ২ কেজি গ্যাস কম! বিক্ষোভ বারাসতে, কী ভাবে বুঝবেন ওজন ঠিক আছে কি না

অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, সরবরাহের কাজে যুক্ত কর্মীদের কাছে ওজন মাপার যন্ত্রও সব সময় থাকে না। ফলে সন্দেহ হলেও তা যাচাই করতে পারেন না গ্রাহকেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বারাসত শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:৩৪
Share:

সিলিন্ডারে গ্যাস কম থাকার অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে। প্রতীকী ছবি।

রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের ওজন হওয়া উচিত ১৪.২ কেজি। কিন্তু ওজন করে দেখা যাচ্ছে, সিলিন্ডারের ওজন মেরেকেটে ১২ কেজি। অর্থাৎ, প্রায় ২ কেজি কম! সিলিন্ডারে গ্যাস কম থাকার এমন অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে।

Advertisement

অভিযোগ, কালীকৃষ্ণ স্কুলের সামনে চাঁদের বিল ও ১১ নম্বর রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় গ্রাহকদের ১২ কেজি ওজনের গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়া হচ্ছে। সোমবার সকালে ১১ নম্বর রেলগেটের কাছে একটি বাড়িতে ১২ কেজি ওজনের গ্যাস সিলিন্ডার ধরা পড়ে। পরে দেখা যায়, ভ্যানে যত সিলিন্ডার ছিল, সব ক’টিরই ওজন ১২ কেজি। এর পরেই এলাকায় বিক্ষোভ দেখান সাধারণ মানুষ। এক স্থানীয় ব্যক্তি বলেন, ‘‘১০৭৯ টাকা দিয়ে গ্যাস কিনতে হয় এখন। তার পরেও ২ কেজি গ্যাস কম থাকলে তা কোনও ভাবেই মেনে নেব না।’’ ডেকে পাঠানো হয় গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থার ম্যানেজারকেও। এই ঘটনায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে বারাসত থানায়।

এই ঘটনা অবশ্য নতুন কিছু নয়। অতীতেও সিলিন্ডারে কম গ্যাস থাকার অভিযোগ উঠেছে বহু বার। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, সরবরাহের কাজে যুক্ত কর্মীদের কাছে ওজন মাপার যন্ত্রও সব সময় থাকে না। ফলে সন্দেহ হলেও তা যাচাই করতে পারেন না গ্রাহকেরা। যদিও প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে, গ্যাস সিলিন্ডার বাড়িতে সরবরাহের সময় সঙ্গে ওজন করার যন্ত্র রাখার নিয়ম রয়েছে। গ্রাহকরা চাইলে সিলিন্ডার ওজন করেই সরবরাহ করতে হবে।

Advertisement

অবশ্য অধিকাংশ ক্ষেত্রে খাতায়-কলমেই থেকে গিয়েছে সেই নিয়ম। গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত এক কর্মী বলছেন, ‘‘ওই যন্ত্র নিয়ে বেরোতে বা ওজন মেপে দিতে আমাদের তো কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু কোম্পানি যদি সেটা আমাদের না দেয়, আমরা কী করতে পারি!’’ প্রশাসনের একাংশের বক্তব্য, নিয়ম না মানার অভিযোগ উঠলে ডিলারের লাইসেন্সও বাতিল করা হতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement