মাঠ দাপাল খুদে খেলোয়াড়

স্থানীয়দের মতে, ছোটদের ফুটবল প্রতিযোগিতা যদি গুরুত্ব দিয়ে করা হত, তা হলে ভাল ফুটবলার তোলা অনেক সহজ হত। তাঁদের মতে, ছোটদের  সঠিক প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রতিযোগিতা করা হলে নয়া প্রতিভার সন্ধান মিলবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বনগাঁ শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০১৮ ১৪:১৯
Share:

বলপায়ে: বনগাঁয়। —নিজস্ব চিত্র

ফুটবল প্রতিযোগিতা মানেই এখন ফ্লাডলাইট আর নাইজেরীয় ফুটবলার। গত কয়েক বছর ধরে এই ট্রাডিশন কয়েক বছর ধরে সমানে চলছে। এই ঘটনা বাড়তে থাকায় চাহিদা বাড়ছে নাইজেরীয় ফুটবলারদের। তার ফলে নিম্ন মানের বিদেশি ফুটবলারে ভরছে ময়দান।

Advertisement

মফস্‌সলের বাসিন্দারা মনে করছেন, এতে খেলার মান দিনদিন পড়ছে। এবং এই সব বিদেশিদের সঙ্গে খেলে স্থানীয় খেলোয়াড়দের কোনও উন্নতি হচ্ছে না। যদিও শুরুর দিকে উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্য ছিল এমনটাই। তার বদলে নৈশ ফুটবল এখন নেহাতই মনোরঞ্জন হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয়দের মতে, এর থেকে ছোটদের ফুটবল প্রতিযোগিতা যদি গুরুত্ব দিয়ে করা হত, তা হলে ভাল ফুটবলার তোলা অনেক সহজ হত। তাঁদের মতে, ছোটদের সঠিক প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রতিযোগিতা করা হলে নয়া প্রতিভার সন্ধান মিলবে।

বনগাঁর একটি ক্লাব এ বার সেই কাজে উদ্যোগী হল। অনুর্ধ্ব ১৩ ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল। ছোটদের খেলা মন ভরিয়েছে বনগাঁর বাসিন্দাদের।

Advertisement

বনগাঁর শিমুলতলার বঙ্কিম স্মৃতি সঙ্ঘ নিজেদের মাঠে রবিবার দিবারাত্র ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল। কলকাতা, বারাসত, বিধাননগর, অশোকনগর, বনগাঁর মোট আটটি দল প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।

পুরো প্রতিযোগিতায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখা গিয়েছে। দুরন্ত পাস, ড্রিবল মাঠ ভর্তি দর্শকদের আনন্দ দিয়েছে। ছোটদের খেলা দেখতেও প্রচুর মানুষ মাঠে হাজির হয়েছিলেন। কেউ কেউ বললেন, ‘‘বড়দের প্রতিযোগিতা দেখার সুযোগ প্রায়ই পাই। কিন্তু ছোটদের প্রতিযোগিতা খুব বেশি দেখা যায় না। এই খেলা দেখে বুঝলাম, ছোটরা বড়দের থেকে কোনও অংশে কম নয়।’’ তাঁদের দাবি, এমন প্রতিযোগিতার আয়োজন আরও হোক। তাতে নতুন প্রতিভা উঠে আসবে।

ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল বারাসতের মনোরঞ্জন স্মৃতি সঙ্ঘ কোচিং সেন্টার ও বনগাঁর হ্যাপি চাইল্ড ফুটবল অ্যাকাডেমি। সূর্য ঘোষের একমাত্র গোলে জয়ী হয় মনোরঞ্জন স্মৃতি সঙ্ঘ।

উদ্যোক্তা ক্লাবের সম্পাদক তথা বনগাঁ মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার কার্যকরী সম্পাদক প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, ‘‘ভবিষ্যতের ফুটবল প্রতিভা তুলে আনতে আমাদের এই আয়োজন। ছোটরা প্রতিযোগিতামূলক খেলার সুযোগ কম পায়। এমন প্রতিযোগিতা যত বেশি হবে ততই বাংলার ফুটবল লাভবান হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement