বছর কয়েক আগে অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভার প্রায় ৩ কোটি টাকা তছরুপের ঘটনার তদন্তে নেমে রবিবার রাতে পুলিশ পুরসভারই হিসাবরক্ষক এবং অফিস সুপারিন্টেন্ডেন্টকে গ্রেফতার করল। এই নিয়ে ওই ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৭। ধৃতদের মধ্যে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের হাবরা শাখার প্রাক্তন ডেপুটি ম্যানেজারও রয়েছেন।
পুলিশ জানায়, রবিবার রাতে পুরসভার হিসাবরক্ষক রাজীব ভৌমিককে স্থানীয় চৌরঙ্গি এলাকা থেকে ধরা হয়। সেখানেই তাঁর বাড়ি। অফিস সুপারিন্টেন্ডেন্ট স্বপনকুমার দে’কে থানায় ডাকা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে সন্তোষজনক উত্তর দিতে না-পারায় অশোকনগরেরই বাসিন্দা স্বপনবাবুকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতেরা অবশ্য তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অসস্বীকার করেছেন। দু’জনকেই সোমবার বারাসত আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাঁদের চার দিন পুলিশ বেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
২০১২-১৩ এবং ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে ওই পুরসভার মিড-ডে মিল এবং বার্ধক্য-বিধবা ভাতার মোট ২ কোটি ৯২ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকা হাবরার একটি ব্যাঙ্ক থেকে তছরুপ হয় বলে এক বছর আগে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পুরপ্রধান প্রবোধ সরকার। তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা জানান, অর্থ তছরুপের ঘটনায় ধৃত প্রাক্তন ব্যাঙ্ককর্তা অনির্বাণ দাসকে জেরায় জানা যায়, তছরুপের টাকার একাংশ অনির্বাণের অ্যাকাউন্টে গিয়েছিল। সেখান থেকে তিনি দু’লক্ষ টাকা রাজীববাবুর অ্যাকাউন্টে জমা করেছিলেন। স্বপনবাবুর বিরুদ্ধেও তছরুপের প্রমাণ মিলেছে বলে তদন্তকারীদের দাবি। তাঁরা জানান, ওই ঘটনায় ধৃত হাবরার একটি সংস্থার কর্তা সুব্রত সরকারের নামে এক কোটি টাকা জমা হয়েছিল। সুব্রতবাবু তা থেকে এক লক্ষ টাকা স্বপনবাবুর অ্যকাউন্টে জমা করেছিলেন। তা ছাড়াও তিনি স্বপনবাবুর নামে তিন লক্ষ টাকা দিয়ে একটি গাড়ি ‘বুক’ করেছিলেন।