মেটেনি সমস্যা। —নিজস্ব চিত্র।
যানজট মেটাতে বজবজ রোডের প্লাস্টার মোড় থেকে বজবজ স্টেশন পর্যন্ত অস্থায়ী দোকান না সরিয়ে মুখ ঘুরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বজবজ পুরসভা। সেই মতো কাজও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু অভিযোগ, যানজটে কমেনি। তার উপরে রাস্তার এই অংশের হালও খারাপ বলে অভিযোগ বাসিন্দা ও নিত্যযাত্রীদের।
বজবজ রোডে যানজট নতুন নয়। অভিযোগ, প্লাস্টারো মোড় থেকে বজবজ স্টেশন সবচেয়ে সমস্যা হত। এর অন্যতম কারণ ছিল রাস্তার পাশে অস্থায়ী দোকান। দোকানের সামনে ক্রেতার ভিড়ে এবং অবৈধ পার্কিং-এর জেরে গাড়ি দাঁড়িয়ে যেত। অফিস টাইমে পরিস্থিতি আরও খারাপ হত। তাই বেশ কয়েকটি দোকানের মুখ ঘুরিয়ে ফুটপাথের দিকে করা হয়। যুক্তি ছিল, ক্রেতারা আর রাস্তার উপরে দাঁড়াবেন না। ফলে যানজট কমবে। নতুন দোকানঘরগুলির পিছন দিকে ত্রিপল টাঙিয়ে হকাররা বসছেন। একই ভাবে গাড়ি পার্কিং করা হচ্ছে।
নিত্যযাত্রী রমেশ মণ্ডল বলেন, ‘‘অস্থায়ী ব্যবসায়ীদের স্থায়ী দোকান করে দেওয়া হয়েছে। অথচ হকারদের নিয়ন্ত্রণের কোনও চেষ্টাই হচ্ছে না।’’ অটোচালক স্বপন সাহা জানান, এই রাস্তায় গাড়ি চালানো বিপজ্জনক। এমনিতেই ভেঙে গিয়েছিল রাস্তা। বৃষ্টিতে আরও ভাঙাচোরা অবস্থা হয়ে গিয়েছে। গর্তে গাড়ির চাকা পড়লে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
রাস্তার অবস্থা যে খুবই বিপজ্জনক তা স্বীকার করে বজবজ পুরসভার উপপ্রধান তৃণমূলের গৌতম দাশগুপ্ত জানান, এক বছর আগেই রাস্তা সারাই হয়েছিল। জল এবং বিদ্যুতের কাজে রাস্তা খোঁড়া হয়েছিল। পুর-ভোটের জন্য সমস্ত সারানোর প্রক্রিয়া আটকে ছিল। বর্ষা শেষ হলেই রাস্তা মেরামতির কাজে হাত দেওয়া হবে। তবে গুরুত্ব বিচার করে আপাতত চলাফেরার যোগ্য করতে রাস্তায় ঝামা ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘দোকানগুলি যখন হস্তান্তর করা হবে তখন মাইকে ঘোষণার মাধ্যমে রাস্তা থেকে হকার ও অবৈধ পার্কিং সরানোর আবেদন শুরু করা হবে। না শুনলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’