—নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনে কেন আলাদা আলাদা গোষ্ঠী থাকবে? শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত একটি দলীয় কর্মসূচিতে ভাষণ দিতে গিয়ে এই প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তৃণমূল সাংসগ সৌগত রায়। পুরনো নেতৃত্বকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলতে গিয়ে প্রবীণ তৃণমূল নেতার বক্তব্যে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই প্রকাশ্যে চলে এল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের নজরুল মঞ্চে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে সৌগত বলেন, ‘‘তৃণমূল কংগ্রেসের শিক্ষক সংগঠনের দু’টি আলাদা গ্রুপ রয়েছে। একই জায়গায় কী করে আলাদা দুটো গ্রুপ হতে পারে? এটা দলের জন্য ভাল নয়। আমি এ বিষয়ে সুব্রত বক্সীর সঙ্গে কথা বলব।’’
সাংসদের এই বক্তব্যের পর শিক্ষক সংগঠনের দু’টি গোষ্ঠীর কথা প্রকাশ্যে আসে। দলের জেলা সভাপতি সম্রাট চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘‘তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে আমি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। দ্বিতীয় কোনও সংগঠন আছে কি না জানা নেই।’’ সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ডিপিএসসি চেয়ারম্যান হয়েছেন দেবব্রত সরকার। তাঁর বিরুদ্ধেই আলাদা গোষ্ঠী তৈরির অভিযোগ উঠেছে দলের অন্দরে। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘সৌগতবাবুই আমাকে সভাপতি করে চিঠি দিয়েছেন।’’