শওকত মোল্লা। —ফাইল চিত্র।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে এমএলএ কাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পুলিশকে শাসানোর অভিযোগ উঠল খোদ শাসকদলের বিধায়ক শওকত মোল্লার বিরুদ্ধে। ঘটনাটির একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। সেটির সত্যতা আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি। ভিডিয়োটিতে শাসাতে শাসাতে পুলিশের দিকে তেড়ে যেতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল বিধায়ককে। এই ঘটনায় শাসকদলের কড়া নিন্দা করেছে বিরোধীরা।
প্রায় প্রতি বছরই ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকতের উদ্যোগে এমএলএ কাপ ফুটবলের প্রতিযোগিতা হয় জীবনতলায়। এ বছর সেই খেলার আসর বসেছে ভাঙড়ে। গত শনিবার তারই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠান রাত ৯টায় শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা শেষ হতে হতে অনেক রাত হয়ে যায়। তৃণমূল সূত্রে খবর, এর পরেই কয়েক জন কলেজ বিল্ডিংয়ের ছাদে উঠে আতশবাজি ফাটান। এর পরেই অনুষ্ঠান বন্ধ করতে বলে পুলিশ। সেই সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রবর্ধন ঝা। পুলিশ জানায়, কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ আছে, রাত ১০টার পর কোনও অনুষ্ঠান করা যাবে না। কিন্তু পুলিশের কথায় কর্ণপাত না করেই বাজি ফাটানো চলতে থাকে। এর পর পুলিশকর্মীরা ছাদে উঠে বাজি ফাটানো বন্ধ করতে বলেন। তাতেই হুড়োহুড়ি লেগে যায়। আর সেই সময় পুলিশের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শওকতের বিরুদ্ধে। প্রকাশ্যে আসা ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, পুলিশের দিকে তেড়ে যাচ্ছেন বিধায়ক। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘কী বলছে পুলিশ? অ্যারেস্ট (গ্রেফতার) করবে? করুক তো দেখি!’’
এ নিয়ে জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, ‘‘পুলিশ তো শাসকদলের লোকেদের জন্যই কাজ করে! ওদের কেন শাসাচ্ছে। বিরোধী দল হলে তা-ও কথা ছিল। শাসকদলের কথাতেই তো পুলিশ আমাদের দলুয়াখাকিতে ঢুকতে দেয়নি। তৃণমূল সরকারে রয়েছে। তৃণমূলেরই বিধায়ক পুলিশকে হুমকি দিচ্ছে। পুলিশ অবশ্য এ নিয়ে কিছু বলবে না। ওরা চেপে যাবে।’’ বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যও বলেন, ‘‘এটাই তৃণমূল। এটাই ওদের সংস্কৃতি।’’