একই দলের দুই নেতা। এক জন বনগাঁ পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান। অন্য জন প্রাক্তন। এই বর্তমান এবং প্রাক্তনের দ্বন্দ্বে গোষ্ঠীকোন্দলের ছায়া তৃণমূলে। যা নিয়ে কটাক্ষের সুযোগ হাতছাড়া করেনি বিজেপি।
সম্প্রতি বনগাঁয় দলের এক আদিবাসী নেতার চাকরি এবং সেই চাকরির বদলির জন্য টাকা নেওয়ার অভিযোগকে ঘিরে শোরগোল এলাকায়। এ নিয়েই বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য বিঁধেছেন বর্তমান চেয়ারম্যান গোপাল শেঠকে। নেটমাধ্যমে তাঁর কটাক্ষ, ‘বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যানকে বলব, আপনার গায়ে এত ছ্যাঁকা লাগছে কেন? এখানে আলোচনা হচ্ছে আর্থিক তছরুপ নিয়ে, আর আপনি বলছেন কে পুরভোটের সময় কংগ্রেস দল করেছে, কোন চিহ্নে ভোট দিয়েছে! আপনিও তো ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলরকে কোলে করে নিয়ে অবাধ ভাবে ঘোরাফেরা করছেন। তাহলে তো এটাই দাঁড়ায় যে আপনি নির্বাচনের সময় ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের মনোনীত প্রার্থী হিমাদ্রি মণ্ডলকে ইচ্ছাকৃত ভাবে হারিয়ে দলের সঙ্গে বেইমানি করেছেন।’
ওই দীর্ঘ পোস্টে তিনি আরও লেখেন, ‘আমি বলেছি, তৃণমূল কখনও এমন অন্যায় কাজে প্রশ্রয় দেয় না। প্রশাসন যেন এর সঠিক তদন্ত করে এবং দোষীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়। এই কথাতে আপনার এত জ্বালার কী হল? আপনিও কি তা হলে এর সঙ্গে জড়িত? আপনার পকেটেও কি ওই লুটের টাকার পার্সেন্টেজ যেত?’
এখানেই থামেননি তিনি। বনগাঁ পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যানকে প্রাক্তনের ‘পরামর্শ’, ‘অন্যায়ের পাশে না থেকে ন্যায়ের পথে চলুন। বনগাঁর মানুষ সব দেখছে।’ এর পরেই শুরু রাজনৈতিক তরজা। বনগাঁ পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান তথা বনগাঁ জেলা তৃণমূল সভাপতি গোপাল শেঠ বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে দীর্ঘ দিন ধরে নেটমাধ্যমে কুৎসা করা হচ্ছে। এর কোনও ভিত্তি নেই। আমি কোনও ব্যক্তির নাম করব না। কিন্তু অপকর্ম-কুকর্ম করবে, দলের বিরুদ্ধে কথা বলবে, এমন কাউকে রেয়াত করব না।’’
তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘কে দোষী, কে দোষী নন, সেটা দেখার জন্য আমরা নেই। যদি কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে তাবে আইন আছে। প্রশাসন আছে।’’
এ বিষয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি গেরুয়া শিবির। বিজেপি নেতা দেবদাস মণ্ডলের টিপ্পনী, ‘‘বনগাঁর মানুষ তৃণমূলের এই গোষ্ঠীকোন্দল দেখে দেখে আতঙ্কিত।’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।