প্রতীকী ছবি।
এক শিক্ষিকার যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে বারুইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই শিক্ষিকা। যদিও অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার দাবি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে।
নির্যাতিতা জানিয়েছেন, কল্যাণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান ও বর্তমানে কল্যাণপুর অঞ্চলের যুব তৃণমূল সভাপতির বাড়িতে গৃহশিক্ষকতা করতেন তিনি। গত ৯ জুলাই বিকেলে তিনি ওই ব্যক্তির মেয়েকে পড়াতে যান। কিন্তু ওই সময়ে বাড়িতে কেউ ছিলেন না। সেই সুযোগে ওই নেতা তাঁর যৌন হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, বিষয়টি ধামাচাপা দিতে অভিযোগকারিণীকে দু’হাজার টাকা দিয়ে ওই নেতা বলেন, মুখ খুললে প্রাণে মেরে দেওয়া হবে।
নির্যাতিতার আরও অভিযোগ, এর পরে অভিযুক্ত নেতার স্ত্রী-ও তাঁর বাড়িতে গিয়ে শাসানি দেন। তবে অভিযুক্তের দাবি, ‘‘রাজনৈতিক স্বার্থেই আমাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে।’’
বারুইপুরের তৃণমূল ব্লক সভাপতি তথা বারুইপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান গৌতম দাস বলেন, ‘‘পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমরাও দলীয় তরফে ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি।’’ গৃহশিক্ষিকার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে বারুইপুর থানা সূত্রে জানা গিয়েছে।