বনগাঁ-বাগদা রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ সমীক্ষায় রবিবার খেদাপাড়ায় পূর্ব রেলের আধিকারিকেরা। নিজস্ব চিত্র।
আবার শুরু হল বনগাঁ-বাগদা রেলপথ তৈরির সমীক্ষার কাজ। রবিবার রেলের একটি প্রতিনিধি দল বনগাঁর খেদাপাড়া এলাকায় এসে সমীক্ষা করে। মূলত খেদাপাড়া এলাকায় থাকা রেললাইন থেকে কোন পথে বাগদায় রেলপথ তৈরি করা যায়, তা ঘুরে দেখেন প্রতিনিধি দলের সদস্যেরা। প্রতিনিধি দলে ছিলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের প্রতিনিধি দেবদাস মণ্ডল। দেবদাস বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি।
নতুন করে সমীক্ষার কাজ শুরু হওয়ায় আশার আলো দেখছেন বাগদার মানুষ। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সীমান্ত লাগোয়া বাগদার মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি রেলপথের। এখন সড়কপথই ভরসা সীমান্ত-লাগোয়া বাগদার মানুষের। বিশেষ করে রাতে যাতায়াত করতে তাঁরা সমস্যায় পড়েন। কোনও কারণে বাস চলাচল বন্ধ থাকলে বাগদার মানুষের দুর্দশার শেষ থাকে না। ভোটের আগে রাজনৈতিক দলগুলির পক্ষ থেকে নিয়ম করে রেলপথের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। অভিযোগ, এক বার ভোট মিটে গেলে সেই প্রতিশ্রুতির কথা কেউ মনে রাখে না।
কয়েক বছর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন বনগাঁ-বাগদা রেলপথ তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন। প্রাথমিক ভাবে সমীক্ষার কাজও শুরু হয়েছিল। কিন্তু জমি অধিগ্রহণ নিয়ে জটিলতায় সে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। সূত্রের খবর, ২০১৯ সালে বনগাঁ-বাগদা রেলপথ তৈরির প্রকল্পটি বাতিল হয়ে গিয়েছিল। দেবদাস বলেন, “২০১৯ সালে বনগাঁ-বাগদা রেলপথ তৈরির প্রকল্পটি বন্ধ হয়েছিল, কারণ রাজ্য সরকার প্রকল্পের জন্য এনওসি দেয়নি। সাধারণ মানুষ রেলপথ তৈরির জন্য জমি দিতে রাজি ছিলেন। কিন্তু রাজ্য সরকার জমি অধিগ্রহণ করে দিতে চায়নি। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর রেলমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে নতুন করে প্রকল্পের কাজটি শুরু করিয়েছেন।” রেলের প্রতিনিধিরা অবশ্য এ দিন কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
এ দিনের সমীক্ষা নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। দলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “রেলমন্ত্রী থাকার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনগাঁ-বাগদা রেলপথ তৈরির কাজের অনুমোদন দিয়েছিলেন। ৫৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে কেন্দ্র সরকার ওই কাজটি আর করেননি। ২০১৯ সালে শান্তনু ঠাকুর কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী থাকার সময়েই প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বাগদা বিধানসভার উপনির্বাচনে হেরে বিজেপি এখন রেলপথ নিয়ে নতুন নাটক করে মানুষের মন জয় করার চেষ্টা করছে। এতে লাভ হবে না। জমি অধিগ্রহণ করতে হলে রেলমন্ত্রক রাজ্য সরকারকে চিঠি লিখুক।”