ছবি: সংগৃহীত
দলীয় কার্যালয় দখল ঘিরে শনিবার দুপুরে ধুন্ধুমার বাধল পলতায়। তৃণমূলের অভিযোগ, তাদের একটি দলীয় কার্যালয় বিজেপি জোর করে দখল করে রেখেছিল। সেটি ফেরত নেওয়ায় এ দিন বিজেপি তাদের উপরে চড়াও হয়। বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, তৃণমূলই কার্যালয় দখল করতে তাদের উপরে হামলা চালিয়েছে।
এক সময়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় পলতা স্টেশন চত্বর। দু’পক্ষেরই দাবি, তাদের পাঁচ জন করে কর্মী জখম হয়েছেন। তৃণমূল ও বিজেপি পরস্পরের বিরুদ্ধে টিটাগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
স্থানীয় সূত্রের খবর, পলতা স্টেশনের পাশে তৃণমূলের টোটো ইউনিয়নের কার্যালয় ছিল। লোকসভা ভোটে বিজেপি ব্যারাকপুর আসন জেতার পরে সেটি তাদের দখলে চলে যায়। উত্তর ব্যারাকপুরের উপ পুরপ্রধান পারমিতা বসু সরকারের অভিযোগ, লোকসভা ভোটের পরে বিজেপির লোকেরা তাঁদের সমর্থকদের মারধর করে দলীয় কার্যালয়টি দখল করে নেয়। তাঁর দাবি, ‘‘বহুবার আমরা বিজেপিকে ওই কার্যালয় ছাড়তে বলেছিলাম। সেই মতো রবিবার আমাদের লোক ওই দলীয় কার্যালয়ের দখল নেয়। তখন বিজেপি সেখানে হামলা চালায়।
শনিবার দুপুরে কার্যালয় ফেরত চেয়ে তৃণমূল সমর্থকেরা জড়ো হন বলা জানা গিয়েছে। তখন সেখানে বিজেপির সমর্থকেরাও ছিলেন। বিজেপির ঝান্ডা নামিয়ে তৃণমূলের পতাকা লাগাতেই দু’পক্ষের গোলমাল বেধে যায়। বচসা, ধস্তাধস্তি থেকে তা হাতাহাতিতে গড়ায়। ইট, বাঁশ, এমনকি, রেললাইনের পাথর তুলে ছুড়তে শুরু করেন দু’দলের সমর্থকেরা। তাতে জখম হন দু’পক্ষেরই কয়েক জন। ব্যারাকপুর বিএন বসু হাসপাতালে জখমদের চিকিৎসা হয়।
বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র বলেন, “পারমিতা বসু সরকারের নেতৃত্বে তৃণমূলের লোকেরা আমাদের দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে হামলা চালিয়েছে।”