আরএসপি প্রার্থীকে হেনস্থা করে মিছিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। বুধবার সকালে বাসন্তীর শিমূলতলার ঘটনা।
এ দিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ শিমূলতলা হাসপাতাল মোড় থেকে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন বাসন্তী বিধানসভা কেন্দ্রের জোট প্রার্থী, আরএসপি-র সুভাষ নস্কর। অভিযোগ, সে সময়ে কয়েকজন যুবক গালাগালি শুরু করে। স্লোগান বন্ধ করার হুমকি দেয়। মিছিলে বোমা মারা হবে বলে শাসানো হয়। সুভাষবাবুকেও হেনস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
আরও অভিযোগ, ঘটনার পরে পরেই তৃণমূল একটি মিছিল শুরু করে। সুভাষবাবুদের মিছিলের পিছু নেয় ওই মিছিল। কালীপদ মোড়ের কাছে ফের তৃণমূলের লোকজন দলীয় কার্যালয় থেকে লাঠিসোটা বের করে সুভাষবাবুদের মিছিলের দিকে তেড়ে যায়। কয়েকজন আরএসপি কর্মীকে মারধর করা হয়। আরএসসপি-র দাবি, সুভাষবাবুকে সেখানে ফের একপ্রস্থ হেনস্থা করা হয়। মিছিল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন তাঁরা।
খবর পেয়ে ফ্লাইং স্কোয়াডের লোকজন আসেন। স্কোয়াডের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘তৃণমূল বিনা অনুমতিতে মিছিল করেছে।’’ বাসন্তীর রিটার্নিং অফিসার স্বাতী চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আরএসপি-র থেকে একটি অভিযোগ এসেছে। মিছিলের ভিডিও ক্লিপিং রয়েছে। খতিয়ে দেখে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’’
সুভাষবাবু বলেন, ‘‘স্থানীয় পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান বুলা নাসরিনের স্বামী আমান মোল্লার নেতৃত্বে এই গণ্ডগোল হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনে এ দিন প্রচার করছিলাম। হঠাৎ তৃণমূলের লোকজন এসে আমাদের কর্মীদের উপরে হামলা আমাকেও হেনস্থা করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি।’’
এই অভিযোগ অস্বীকার করে আমান বলেন, ‘‘এই ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই। কয়েক দিন আগে গ্রামের কয়েকজন যুবকের নামে আরএসপির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করা হয়। তারাই সুভাষবাবুদের কাছে জানতে গিয়েছিল, কেন মিথ্যে নালিশ হল।’’
বাসন্তীর ব্লক তৃণমূল সভাপতি মন্টু গাজি বলেন, ‘‘সুভাষবাবুদের পাশে লোকজন নেই। ওঁরা হতাশায় ভুগছেন। তাই কোনও ঘটনা ঘটলেই তৃণমূলের নামে দোষ চাপাচ্ছেন।’’ তাঁর দাবি, সামান্য বচসা হয়েছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের যোগ নেই।’’