বেআইনি দখলদারদের চিহ্নিত করে দোকান ভাঙা শুরু হতেই বাধা দেন কয়েক জন হকার। যদিও সেই বাধার মধ্যেই ভাঙা হয় তিনটি অস্থায়ী দোকান। প্রতীকী ছবি।
শিয়ালদহ মেন শাখায় রেলের জায়গায় জবরদখলের অভিযোগ নতুন নয়। বেআইনি দখলদারদের হটাতে উচ্ছেদ অভিযানও চালায় রেল পুলিশ। সোমবার সকালে তেমনই অভিযান শুরু হয়েছিল শিয়ালদহ-রানাঘাট শাখার জগদ্দল স্টেশনে। আর তাতেই ধুন্ধুমার বাধল রেল রক্ষী বাহিনী এবং হকারদের মধ্যে। তিনটি দোকান ভাঙার পরে এ দিনের মতো অভিযান বন্ধ রাখে রেল পুলিশ।
রেল পুলিশ সূত্রের খবর, পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী এ দিন সকালে জগদ্দল স্টেশনে পৌঁছন রেল পুলিশের একটি বাহিনী ও রেলের আধিকারিকেরা। বেআইনি দখলদারদের চিহ্নিত করে দোকান ভাঙা শুরু হতেই বাধা দেন কয়েক জন হকার। যদিও সেই বাধার মধ্যেই ভাঙা হয় তিনটি অস্থায়ী দোকান। হকারেরা অবশ্য বাধা দেওয়ার অভিযোগ মানতে চাননি। তাঁদের কথায়, ‘‘আমাদের রুটি-রুজি বন্ধ করে রেলের কী লাভ হচ্ছে! মাঝেমধ্যেই অভিযানের নামে আমাদের দোকানের যাবতীয় সামগ্রী তছনছ করে দেওয়া হচ্ছে। জিনিসপত্র নষ্ট না করার আর্জি জানিয়েছি।’’ হকারদের পাশে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা, ভাটপাড়ার প্রাক্তন পুরপ্রধান অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, ‘‘রেল চাইলে হকার-সমস্যার সুষ্ঠু মীমাংসা করতে পারত। লাঠিসোঁটা নিয়ে ভাঙচুর করে কিছু গরিব ছেলের মুখের গ্রাস কেড়ে নেওয়ার প্রতিবাদ করতে ওদের পাশে দাঁড়িয়েছি। পুনর্বাসন দিয়ে নিজেদের জায়গা দখলমুক্ত করুক রেল,এটাই চাইব।’’
রেলের পক্ষ থেকে অবশ্য এ দিন জানানো হয়, বেআইনি দোকান উচ্ছেদের কাজ একাধিক বার বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে নানা কারণে। রেলের জায়গা দখল হলে তা হটাতে অভিযান চলবে।