কাকদ্বীপ

শুটকি মাছের বাজারে টান

নোট বাতিলের প্রভাব পড়েছে শুটকি মাছে। শুরু হয়েছে অভাবী বিক্রি। এই মাছের অর্ডার দিয়েও শেষ মুর্হূতে সেটি বাতিল করছেন অনেকে।

Advertisement

শান্তশ্রী মজুমদার

শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৬ ০২:০১
Share:

নোট বাতিলের প্রভাব পড়েছে শুটকি মাছে। শুরু হয়েছে অভাবী বিক্রি। এই মাছের অর্ডার দিয়েও শেষ মুর্হূতে সেটি বাতিল করছেন অনেকে।

Advertisement

কাকদ্বীপ মহকুমা জুড়েই শুটকি মাছের একচেটিয়া ব্যবসা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অক্টোবর থেকে শুরু করে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হল শুটকি মাছ চাষের মরসুম। এই সময়ে কয়েকটি নির্দিষ্ট প্রজাতির মাছ ধরে সেগুলি সাগরের প্রায় ৭টি সমবায় খটি সমিতির অধীনে খামারগুলিতে শুকনো করা হয়। এ বার নিম্নচাপের বৃষ্টিতে এমনিতেই শুটকি চাষে ক্ষতি হয়েছিল। তারপর ধেয়ে এসেছে নোট বাতিলের গুঁতো।

গঙ্গাসাগরের একটি শুটকি মাছ খামারের (খটি) মালিক আবদার মল্লিক বলেন, ‘‘নগদের জোগান কম। তাই পর্যাপ্ত শ্রমিক নিয়োগ করতে না পেরে আমাদেরই খামারের কাজ করতে হচ্ছে।’’ তাঁর দাবি, পাইকারি ব্যবসায়ীরা শুটকি মাছ কেনা কমিয়ে দেওয়ায় এই মাছের বিক্রি বন্ধ হতে বসেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নোট বাতিলের আগে প্রতি সপ্তাহে অন্তত দু’বার মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা-সহ কয়েকটি জায়গা থেকে শুটকি মাছের পাইকারি ব্যবসায়ীরা কাকদ্বীপের বিভিন্ন খামারে এসে মাছ কিনতেন। কাকদ্বীপের বড় খামারগুলির শ্রমিকদের অধিকাংশই মহিলা। খামার মালিকদের সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের মজুরি হল দৈনিক ২১০ টাকা। এত দিন দিনের কাজ শেষ হলেই তাঁদের সেই টাকা দিয়ে দেওয়া হতো। কিন্তু নোট বাতিলের ধাক্কায় সব বদলে গিয়েছে। হরিপুর পঞ্চায়েতের লালগঞ্জের মহিলা শ্রমিক শৈব্যা হালদারের ক্ষোভ, ‘‘মালিক এক মাসের টাকা বাকি রেখেছে। চাইতে গেলে বলা হল এখন টাকা দেওয়া যাবে না। কিন্তু টাকা না পেলে সংসার চালাব কীভাবে?’’

Advertisement

সারা দেশে মুরগির খাবারের কাঁচামাল হিসেবে নাইল্যা, কোকিলা, ডাকচাঁদা-সহ কয়েকটি প্রজাতির মাছ এবং ছোট কাঁকড়া শুকিয়ে শুটকি মাছ করে তোলা হয়। খামার মালিকেরা জানান, গত বছর পর্যন্ত পাইকারি ব্যবসায়ীরা ওই মাছগুলি কিলো প্রতি ৩৭ টাকা দরে কিনেছে। কিন্তু এ বার সেই দর নেমে গিয়েছে ২৫ টাকা কিলোতে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement