পানিহাটি পুরসভা। —ফাইল চিত্র।
পানিহাটির পুরপ্রধানের উপরে অনাস্থা প্রকাশ করে ফের বৈঠকে গরহাজির রইলেন চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্যেরা। সোমবার পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। যদিও পুরপ্রধানের দাবি, ওই বৈঠক আগেই বাতিল করা হয়েছিল। তবে তেমন কোনও নোটিস তাঁরা পাননি বলেই পাল্টা দাবি করেছেন চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্যেরা।
দাবি ও পাল্টা দাবির এই টানাপড়েনে পানিহাটি পুরসভার অভ্যন্তরীণ বেহাল অবস্থা ক্রমশ প্রকাশ্যে আসছে। ঘটনার সূত্রপাত জানুয়ারিতে। সামগ্রিক ভাবে পুরসভা পরিচালনায় পুরপ্রধান মলয় রায়ের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে বোর্ডের বৈঠক বয়কট করেছিলেন খোদ শাসকদলের পুরপ্রতিনিধিরা। এর পরে একের পর এক দুরবস্থার কথা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয় যে সম্প্রতি তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর কাছে পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে চিঠি জমা দেন শাসকদলের ৩২ জন পুরপ্রতিনিধি। তাঁরা পুরপ্রধানকে বদলের দাবি তুলেছেন।
সূত্রের খবর, পুরসভার এহেন পরিস্থিতি সামলাতে পুরপ্রধান, উপ পুরপ্রধান, পাঁচ জন চেয়ারম্যান পরিষদ সদস্যের পাশাপাশি তৃণমূলের পানিহাটির দুই সভাপতিকে (দু’জনেই ওই পুরসভার পুরপ্রতিনিধি) নিয়ে একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করেন স্থানীয় বিধায়ক ও সাংসদ। জানা যাচ্ছে, এ দিন চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্যদের বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেখানে ওই দুই পুরপ্রতিনিধিরও থাকার কথা ছিল। বৈঠকের বিষয়ে গত সপ্তাহেই নোটিস দিয়েছিলেন পুরপ্রধান। কিন্তু এ দিন নির্দিষ্ট সময়ে সকলে পুরসভায় উপস্থিত থাকলেও কেউ পুরপ্রধানের ঘরে যাননি। প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতে রাজি না হলেও ঘনিষ্ঠ মহলে তাঁরা জানিয়েছেন যে পুরপ্রধানের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছেন, তাঁর সঙ্গে কোনও বৈঠক তাঁরা করবেন না।
যদিও মলয়ের দাবি, বৈঠক ডাকার পরের দিন তা বাতিল করা হয়। তা সকলকে জানানোও হয়। তিনি বলেন, ‘‘এটা অপপ্রচার। এতে দলের ক্ষতি হচ্ছে।’’ অন্য দিকে, এ দিন থেকে ফের পানিহাটির আবর্জনা তোলা শুরু করেছে কেএমডিএ।