Arrest

ঘরের টোপ দেওয়ার কথা অস্বীকার ধৃতের

তদন্তকারীদের দাবি, খুনের কথা স্বীকার করেনি মহসিন। ঘর পাইয়ে দেওয়ার ‘টোপ’ দিয়েছিল বলেও মানতে চায়নি সে। তার দাবি, বছর পাঁচেক ধরে ওই মহিলার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দক্ষিণ ২৪ পরগনা শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৪ ০৫:৫৮
Share:

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে মহিলাকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় রবিবার রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর থেকে মৃতের পরিবার সম্পর্কে খোঁজ-খবর করা হয়েছে স্থানীয় পঞ্চায়েতের কাছে। সূত্রের খবর, আদৌ পরিবারটি সরকারি ঘর পেয়েছিল কি না, এ বারের তালিকায় তাঁদের নাম আছে কি না— সেই সব খবর ফোনে জানতে চাওয়া হয়েছে।

Advertisement

দক্ষিণ ২৪ পরগনার ওই ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন সূত্রের খবর, শুক্রবার বিডিও অফিসে ঘরের জন্য আবেদন জমা করেন মহিলা। সঙ্গে ছিলেন মহসিন মোল্লা। তাঁর সঙ্গে ওই দিনই মহিলা ওঠেন একটি লজে। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে মৃত্যু হয় তাঁর। মহসিনকে পরের দিন গ্রেফতার করে পুলিশ।

তদন্তকারীদের দাবি, খুনের কথা স্বীকার করেনি মহসিন। ঘর পাইয়ে দেওয়ার ‘টোপ’ দিয়েছিল বলেও মানতে চায়নি সে। তার দাবি, বছর পাঁচেক ধরে ওই মহিলার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা ছিল।

Advertisement

একই কথা জানিয়েছেন মহসিনের স্ত্রী মিনারা বিবি। রবিবার তিনি বলেন, “ওই মহিলাকে নিয়ে আমার স্বামী মাঝেমধ্যেই এ-দিক ও-দিক যেত। অনেক বারণ করেছি। সে
কথা শোনেনি। ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে লজে নিয়ে যাওয়ার কথা ঠিক নয়।”

প্রশাসন সূত্রের খবর, মহিলার বাড়ি যে পঞ্চায়েত এলাকায়, সেখানে ৪৬০০টি ঘরের নাম এসেছে তালিকায়। ইতিমধ্যেই সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। বহু মানুষের নাম বাদ গিয়েছে তালিকা থেকে। বিশেষ করে, যাঁরা আগে সরকারি প্রকল্পের ঘর পেয়েছেন, যাঁদের পাকা বাড়ি রয়েছে— সেই সব নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, “যখন তালিকা তৈরি হয়, তখন বহু মানুষের ঘর ছিল না। পরে অনেকে পাকা বাড়ি করেছেন। তাঁদের নাম তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে।” তিনি জানান, ওই মহিলা বা তাঁর স্বামীর নাম নেই আবাসের তালিকায়। ওঁরা আমাদের কাছে আবেদনও করেননি। তবে শুনেছি, বিডিও অফিসে আবেদন জমা করতে গিয়েছিলেন মহিলা।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement